কলকাতা: হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুর ঘুরে কলকাতায় ফিরল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। মণিপুরের বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করে ফিরেছেন তাঁরা। তাঁদের কথায় মণিপুরে প্রায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাঁচজন সাংসদের সেই দল যা যা দেখে এসেছে, তার সবটাই জানানো হবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা ঠিক করবেন মমতাই।
কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এদিন তৃণমূল সাংসদ তথা ওই প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, “ওখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি। যে ধরনের অত্যাচার হয়েছে, যে নৃশংসতা দেখা গিয়েছে, তা কোনও সভ্য সমাজে ভাবা যায় না।” আর এই পরিস্থিতির জন্য শুধুমাত্র মণিপুরের রাজ্য সরকার নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরেও দায় চাপিয়েছেন তিনি।
মণিপুরে গিয়ে সে রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গেও কথা বলেছেন তৃণমূল সাংসদরা। কাকলি বলেন, “ওখানে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। রাজ্যপাল নিজে বলছেন ৬০ হাজার আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, কিন্তু ওখানে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া বা মানুষকে সুরক্ষিত রাখার সঠিক বন্দোবস্ত হয়নি।”
কাকলি জানান, মণিপুরে তাঁরা যা দেখেছেন সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলবেন। এরপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তিনিই নেবেন। মণিপুরে খাবার বা ওষুধের কতটা জোগান রয়েছে, সেটাও দেখে এসেছেন তাঁরা। এবার ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে সাংসদ বলেন, “মানুষজনকে একেকটা ঘরে ঠেসে রাখা হয়েছে। আলো নেই, পাখা নেই। পাঁচ হাজার বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে, ৫৭ হাজার মানুষ ক্যাম্পে রয়েছেন।” তাঁর দাবি, মানুষের স্বার্থে কাজ হচ্ছে না মণিপুরে।
এর আগে মণিপুর যেতে চেয়েও অনুমতি পাননি মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এবার দলের প্রতিনিধিরা গিয়ে প্রায় সব এলাকাই ঘুরে দেখেছেন। হেলিকপ্টারে পার্বত্য অঞ্চলেও গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই দলে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্যায়, দোলা সেন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও সুস্মিতা দেব।