Abhishek Banerjee: বাংলার মাটিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা, বিজেপি আবার প্রমাণ করল: অভিষেক

Abhishek Banerjee: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, "ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে মণ্ডল সভাপতি বলছেন, টাকা নিয়ে ভুয়ো অভিযোগ করিয়েছি। তিনি নিজে স্বীকার করছেন কোনও ধর্ষণ হয়নি। ব্রেন ওয়াশ করিয়ে ফেক ধর্ষণের কেস করিয়েছে। তিনি মানছেন যে বাংলায় সন্দেশখালিতে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ৭-৮ মাস আগের কেস করেছেন যাতে মেডিক্যাল রিপোর্টে ধরা না পড়ে যায়। ধর্ষণের কেস হলে তো সাধারণত ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল করাতে হয়। সেই প্রভিশন যাতে না থাকে তাই আগে ডেটে অভিযোগ করিয়েছে বলে ভিডিয়োতে বলেছেন।"

Abhishek Banerjee: বাংলার মাটিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা, বিজেপি আবার প্রমাণ করল: অভিষেক
সাংবাদিক সম্মেলনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2024 | 8:10 PM

কলকাতা: সন্দেশখালি নিয়ে শনিবার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। এই ভিডিয়োর সত্যতা টিভিনাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে এই ভিডিয়োকে সামনে রেখেই এদিন সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বিজেপি বাংলার মানুষের প্রতি গত তিন চার মাস ধরে ভয়াবহ চক্রান্ত করেছে। এই ভিডিয়ো সে কথাই সামনে তুলে আনল। তিনি বলেন, “বাংলার সঙ্গে এবার যা হয়েছে তা ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত। বিজেপির কেন্দ্রের নেতাদের বলব ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চান। না হলে ধরে নিতে হবে আপনাদের অঙ্গুলিহেলনেই এই ষড়যন্ত্র সাজানো হয়েছে। তিন চারজনের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের আগে বাংলাকে ছোট করার ঘৃণ্য চক্রান্ত, বাংলার মাটিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা বিজেপি আগেও করেছে। তবে আজকের এই ফুটেজ নির্লজ্জতার সব নজির ভেঙে দিয়েছে। যে ভদ্রলোককে ফুটেজে দেখছেন তিনি সন্দেশখালি-২ মণ্ডল সভাপতি। সাধারণ কেউ নন। ইনি দলের মণ্ডলের সভাপতি। ব্লককে বিজেপি বলে মণ্ডল। সেই মণ্ডলের প্রধান পতাকাবাহক গঙ্গাধর কয়ালকে আপনারা ভিডিয়োতে দেখছেন। ১ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি শান্তি দলুইও রয়েছেন ভিডিয়োতে।”

অভিষেক বলেন, “জবারানি সিংকে ভুক্তভোগী বলা হচ্ছে, যিনি এসটি কমিশন, মহিলা কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভিডিয়োতে দেখা গেল তিনি স্বীকার করছেন জানিই না কী লিখেছি। কোনওরকম ধর্ষণ হয়নি। আমাকে বলেছে সই করতে, না জেনে সই করে দিয়েছি।”

তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, “ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে মণ্ডল সভাপতি বলছেন, টাকা নিয়ে ভুয়ো অভিযোগ করিয়েছি। তিনি নিজে স্বীকার করছেন কোনও ধর্ষণ হয়নি। ব্রেন ওয়াশ করিয়ে ফেক ধর্ষণের কেস করিয়েছে। তিনি মানছেন যে বাংলায় সন্দেশখালিতে কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। ৭-৮ মাস আগের কেস করেছেন যাতে মেডিক্যাল রিপোর্টে ধরা না পড়ে যায়। ধর্ষণের কেস হলে তো সাধারণত ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল করাতে হয়। সেই প্রভিশন যাতে না থাকে তাই আগে ডেটে অভিযোগ করিয়েছে বলে ভিডিয়োতে বলেছেন।”

যদিও এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “সকাল থেকে একটা ভিডিয়ো ভাইরাল করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সন্দেশখালির বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের কথা শোনা যাচ্ছে। আমরা কথা শুনে সেখানকার সাংগঠনিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি ও জানাচ্ছি এটা ফেক এই ভিডিয়ো। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কালিমালিপ্ত করতে তৈরি করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। আমরা এর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাব।”