নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করা হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ইডি বা সিবিআই অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। নিয়োগ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার সিবিআই নোটিস দেয় অভিষেককে। দলীয় কর্মসূচি ছেড়ে রাতেই কলকাতায় ফেরেন অভিষেক।
অভিষেক বললেন, ‘কেষ্ট মণ্ডলের মেয়েকে ইডি দিল্লিতে ডেকে গ্রেফতার করছে। কারণ, তাঁর ১৫০ গুণ সম্পত্তি বেড়েছে বলে। আমি কাউকে ডিফেন্ড করছি না। কেউ ভুল করলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা হওয়া উচিত। কিন্তু ১৫০ গুণ সম্পত্তি বেড়ে সুকন্যা মণ্ডল জেলে, আর ১৬ হাজার গুণ সম্পত্তি বেড়ে জয় শাহ ফুর্তি করছেন দুবাই-আমেরিকা-লন্ডন-জার্মানিতে? এটা হতে পারে। এই দ্বিচারিতা হতে পারে না। আমরা বুক ঠুকে লড়াই করেছি। আগামী দিনেও করব।’
নিজাম প্যালেসের বাইরে রণংদেহি মেজাজে অভিষেক। বললেন, ‘বলা হচ্ছে, আমি শহীদ মিনারে বক্তব্য রেখেছিলাম। সেখান থেকে কুন্তল ঘোষ ক্লু পেয়ে আমার নাম নিয়েছে। তাহলে তো অমিত শাহ নিজে স্বীকার করেছেন, তাঁকে মোদীর নাম নিতে বলেছে সিবিআই। তাহলে অমিত শাহকে ডাকছে না কেন? যেদিন আমি শহীদ মিনারে সভা করলাম, সেই ২৯ মার্চ অমিত শাহ একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে বলেছেন, সিবিআই তাঁকে বলেছে মোদীর নাম নিলে ছেড়ে দেবে। অমিত শাহকে কি ডেকেছে সিবিআই? ক্ষমতা আছে?’
অভিষেক বললেন, ‘বিজেপি কুলটির বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্লক সভাপতি অভিযোগ করছেন গরু পাচারের। আমি এই অভিযোগ করছি না। বিজেপি অভিযোগ করছে। এদের কি সিবিআই বা ইডি ডেকেছে? বিজেপি কি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃণমূল তো ব্যবস্থা নিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতাকেও দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নারদা কেসে শুভেন্দু অধিকারী প্রাইম এফআইআর নেমড অ্যাকিউজ়ড। বিজেপি কি তাঁকে সাসপেন্ড করেছে? সিপিএম বড় বড় কথা বলছে। মনোরঞ্জন পাত্র দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তিনি সিপিএমের সম্পদ। শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ বিজেপির সম্পদ। আমাকে ডাকা হয়েছে কুন্তল ঘোষ চিঠি লিখেছে বলে। তাহলে তো সুদীপ্ত সেন চিঠি লিখে সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরী, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বলেছেন। তাঁদের একজনকেও ডাকা হয়নি। আমার জন্য নিয়ম আলাদা আমি তৃণমূল করি বলে। আর বাকি সবার জন্য নিয়ম আলাদা, বিজেপির তল্পিবাহকতা করছে বলে।’
তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বললেন, ‘নরেন্দ্র মোদী বলছেন, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা। তাহলে হিমন্ত বিশ্বশর্মা আপনার দলের মুখ্যমন্ত্রী হন কীভাবে? যে পাঁচ লাখ টাকা হাতে করে নিচ্ছেন, তিনি আপনার দলের বিরোধী দলনেতা হন কীভাবে? মহারাষ্ট্রের নারায়ণ রানে আপনার দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন কীভাবে? ইয়েদুরাপ্পা আপনার দলের বড় নেতা? এটাই হচ্ছে, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গার মডেল।’
অভিষেক বললেন, ‘আমার এত কষ্ট হয়েছে। গলা ভেঙে গিয়েছে, জ্বর এসেছে, হাত কেটে গিয়েছে, দুদিন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগেছি। মা-বাবা-দলনেত্রী সবাই বারণ করেছিলেন, কিন্তু আমি থামিনি মানুষের স্বার্থে। তদন্তের নামে জনসংযোগ যাত্রাকে বাধা দেওয়া ও ভাঙার জন্য এটি একটি ধারাবাহিক, মজ্জাগত, সুপরিকল্পিত অভিসন্ধি। রাজনৈতিক দলের নির্দেশে আজ এই কাজগুলি হচ্ছে।’
অভিষেক বললেন, ‘যতবার ডেকেছে, ততবার গিয়েছে। কিন্তু অন্তত দুদিন সময় দিয়ে ডাকুন। আমরা বাংলার মানুষ মানে আপনাদের কেনা গোলাম নই। আমার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে আমাকে ফিরে আসতে হয়েছে। আমি তো চ্যালেঞ্জ করেছি, আমার বিরুদ্ধে কিছু পেলে, গ্রেফতার করুন। আদালতে আমি লড়ব। কেউ তো আপনাদের বারণ করছে না। তাহলে পারছেন না কেন? এত শক্তি প্রয়োগ করে, এনআইএ-সিবিআই-আয়কর-ইডি… তাও ধমকাতে চমকাতে আমাদের মেরুদণ্ড বাঁকাতে পারছেন না? কারণ, আমরা অন্য ধাতুর তৈরি। আপনারা মরে যাবেন, তাও দিল্লির বশ্যতা আমরা স্বীকার করব না। যদি ইডি-সিবিআই লাগাবেন, মানুষের জন্য কাজ করার মানসিকতা তত তীব্রতর হবে। আরও দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করব। পরশু সকালে বাঁকুড়া যাব। আরও দশগুণ উৎসাহ নিয়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করব।’
অভিষেক বললেন, ‘এই নিয়ে আমি ৪-৫ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হলাম। আর অন্য রাজনৈতিক দলের কাউকে ডাকা হলে, তখন তাঁর বিরুদ্ধে ব্ল্যাঙ্কেট স্টে। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হবে না। তাঁর কনভয় মানুষ মেরে দিয়ে চলে যাবে, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হবে না। তিনি ক্যামেরার সামনে টাকা নেবেন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হবে না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের জয়েন্ট দলিল পাওয়া গিয়েছে বলে, অর্পিতাদেবীর বাড়িতে হানা দিয়েছে। তাহলে প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের দলিল পাওয়া গিয়েছে। তাহলে দিলীপ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি হবে না কেন? তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বলে? যিনি বিজেপি করছেন, তার জন্য এক আইন… আর আমি তৃণমূল করি বলে আমার জন্য আলাদা আইন? আমি বশ্যতা স্বীকার করিনি বলে, আমার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই লাগানো। আমি যদি আজ বিজেপি করতাম, আমি ধোয়া তুলসি পাতা হয়ে থাকতাম। কিন্তু আমি দিল্লির পোষা কুকুর হয়ে থাকব না। তার থেকে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হয়ে মাথা উঁচু করে মরা ভাল। আমি মাথা উঁচু করে বাঁচার লোক। আমাকে যতবার ডেকেছে ততবার এসেছি।’
অভিষেক বললেন, ‘কয়লা, গরু থেকে শুরু করে আমাকে ভিতরে বেশ কিছু নাম জিজ্ঞাসা করেছে। জানতে চেয়েছে আমি তাঁদের চিনি কি না। বিশ্বাস করবেন না, তাঁদের ৯০ শতাংশ লোকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদে। পূর্ব মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে কে ছিলেন? কার কথা জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তা আমি তদন্তের স্বার্থে জনসমক্ষে আনব না। যে এজেন্টদের কথা আমায় জিজ্ঞেস করেছে, তাদের বেশিরভাগ যদি পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদের হয়… দলের তরফে কে দায়িত্বে ছিলেন? আমি ধরে নিলাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় দোষী। তিনি গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু দলের তরফে দায়িত্বে কে ছিলেন? তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না কেন? আমার থেকে যে তথ্য জানতে চেয়েছে, আমি সব বলেছি। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ প্রশ্নই বোগাস। যদি আগামী দিনে আদালতে এগুলি জমা পড়ে, তাহলে জানতে পারবেন।’
অভিষেক বললেন, ‘আমি আবারও বলছি, আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকলে, আমাকে ডাকাডাকি বন্ধ করুন। একবছর ধরে এসএসসি তদন্ত করছেন, ১০ বছর ধরে সারদায় তদন্ত হচ্ছে, সাত বছর ধরে নারদায় তদন্ত হচ্ছে। এর নির্যাস কী? এর নিটফল কী? রেজাল্ট কী? শূন্য। কী তদন্ত করছেন? যাঁরা তদন্ত করছেন, হয় তাঁদের ইস্তফা দেওয়া উচিত, নাহলে যাদের কথায় তদন্ত করছেন… তাঁদের ইস্তফা দেওয়া উচিত। ১৫ বছর ধরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, এখনও নির্যাস শূন্য। জ্ঞানেশ্বরী নিয়ে তদন্ত হচ্ছে, নির্যাস শূন্য। সারদার তদন্তে নিটফল শূন্য। একটা মানুষও টাকা ফেরত পেয়েছেন সারদায়? নারদায় মূল অভিযুক্ত বিজেপির দলে।’
অভিষেক বললেন, ‘আমি গতকাল আড়াইটের সময় চিঠি পেয়েছি। বাড়িতে এসে চিঠি দিয়ে গিয়েছে। এমন নয় ইমেল বা পোস্টে আগে পাঠিয়েছে। আজ সকাল ১১টার মধ্যে আসতে বলা হয়। আমি ঠিক সময়ে নিজামে ঢুকেছি। প্রায় ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট জিজ্ঞাসাবাদ চলেছে। আমি পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। যা প্রশ্ন করেছে, সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। আমারও সময় নষ্ট করছে, যাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, তাঁদেরও সময় নষ্ট করছেন।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘দেশের নাগরিক হিসেবে আমার দায়িত্ব যে কোনও তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করা। আমাকে যখন কাল নোটিস দিল, তখন বেলা আড়াইটে। আমি ছিলাম বাঁকুড়ার ওঁদায়। আমাকে কার্যত একদিনও সময় দেয়নি। সাড়ে ১৯ ঘণ্টা সময় দিয়েছে। বাঁকুড়া থেকে কলকাতায় ফিরতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগে। আমি এটুকু আশা করেছিলাম, বাকিদের মতো আমাকেও অন্তত ৪৮ ঘণ্টা বা ৭২ ঘণ্টার নোটিসে ডাকবে। আমার অসুবিধা নেই আসতে। কিন্তু আমার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকে। ৩০-৪০ হাজার লোক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তাঁরা আমাকে ভুল বোঝেন। কিন্তু এই রাজনৈতিক চক্রান্তগুলি মানুষ এখন ধরে ফেলেছেন।’
অভিষেক বললেন, ‘প্রথম দিন থেকে এদের টার্গেট হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কীভাবে ইডি-সিবিআই দিয়ে ধমকে চমকে আমাকে দমিয়ে রাখা যায়, সেই চেষ্টা করছে। তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি আমরা শুরু করেছি। এই কর্মসূচিতে যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে নেমে আসছে, মানুষ আমাদের বরণ করে নিচ্ছে, অরাজনৈতিক লোকেরা রাস্তার দুধারে কাতারে কাতারে দাড়িয়ে থাকছেন। সেটা বিজেপির হজম হচ্ছে না। সেই কারণে ৬০ দিনের কর্মসূচিকে বাধাপ্রাপ্ত করতে, আমাকে হেনস্থা করে কর্মসূচিকে আটকানোর জন্য আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে।’
সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের নির্যাস শূন্য। তাঁদেরও সময় নষ্ট, আমারও সময় নষ্ট। নির্যাস হল অশ্বডিম্ব। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও তথ্য বা প্রমাণ থাকে, জনসমক্ষে আনা হোক। আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কোনও প্রয়োজন নেই। সরাসরি একটা ফাঁসির মঞ্চ বানানো হোক, আমি সেখানে গিয়ে মৃত্যু বরণ করব।
বেলা ১১টার আগেই নিজাম প্য়ালেসে ঢুকে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে সাড়ে ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরোলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
বেলা ১০টা ৫৮ মিনিটে নিজাম প্যালেসে ঢুকেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত ৮টা অতিক্রান্ত। এখনও নিজাম প্যালেসে সিবিআই গোয়েন্দাদের মুখোমুখি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। ৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নিজাম প্যালেসে রয়েছেন তিনি।
কাটলো আরও এক ঘণ্টা। এখনও নিজাম প্যালেসেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন তৃণমূল নেতা। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বের হননি তিনি।
সকাল ১১টা থেকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই এর মুখোমুখি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা অতিক্রান্ত এখনও গোয়েন্দাদের মুখোমুখি রয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, একগুচ্ছ প্রশ্ন সাজানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। মূলত কুন্তল ঘোষ ও তাঁর চিঠি সংক্রান্ত বিষয়েই অভিষেককে প্রশ্ন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
বিস্তারিত পড়ুন: নিজামে সিবিআই-এর ৯ সম্ভাব্য প্রশ্নের মুখোমুখি অভিষেক
১ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নিজাম প্যালেসের ভিতরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সূত্রের খবর, মূলত কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত বিষয়েই প্রশ্ন করা হবে অভিষেককে। কুন্তলের সঙ্গে তাঁর কতটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, সে ব্যাপারেই জানতে চাওয়া হবে। তাঁকে প্রশ্ন করতে উপস্থিত রয়েছেন সিবিআই-এর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। অভিষেকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে বলেও সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায় ছিল, অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই বা ইডি। পাশাপাশি, তাঁকে ২৫ লক্ষ জরিমানা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই তিনি সুপ্রিম কোর্টে লিভ পিটিশন করছেন বলে উল্লেখ করেছেন চিঠিতে।
বিস্তারিত পড়ুন: বিচারপতি সিনহার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ অভিষেক
সকাল ঠিক ১১ টাতেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কালো শার্ট আর জিনস পরে গাড়ি থেকে নেমে তিনি সোজা চলে যান ভিতরে। হাত জড় করে হাসিমুখেই প্রবেশ করতে দেখা যায় তাঁকে। সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘বেরিয়ে বলব।’ সঙ্গে রয়েছেন তাঁর আইনজীবী সঞ্জয় বসু।
শনিবার সকালে নিজাম প্যালেসে পৌঁছনোর আগে সিবিআই-কে চিঠি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। একদিনের নোটিসে চিঠি দেওয়ায় বিস্মিত তিনি। সেকথা উল্লেখ করেছেন চিঠির প্রথম অংশেই। তিনি যে হাজিরা দেবেন, সে কথাও জানিয়েছেন অভিষেক। শুধু তাই নয়, তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটশন করেছেন তিনি। চ্যালেঞ্জ করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে।
সিবিআই দফতরের সামনে উপস্থিত হলেন কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ অফিসার। উপস্থিত রয়েছেন অভিষেকের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরাও। বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। এদিন সকাল ১১ টার মধ্যে হাজির হতে বলা হয়েছে অভিষেককে। নির্দিষ্ট সময়েই তিনি হাজিরা দেবেন বলে সূত্রের খবর।
বিস্তারিত পড়ুন: নিজামের বাইরে থিক থিক করছে পুলিশ, অভিষেক পৌঁছনোর আগে হাজির একাধিক ডিসি, এসিপি
সকাল ১১ টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সময়েই পৌঁছে যাবেন তিনি। সাংসদ পৌঁছনোর আগে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে নিজাম প্যালেস। এর আগে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিষেক।