Nusrat Jahan: মধ্যরাতে বিমানবন্দরে যশের সঙ্গে সাংসদ নুসরত, সন্দেশখালির প্রশ্ন শুনেই যা করলেন…

Nusrat Jahan: ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় তৃণমূলের অন্যতম তারকা চমক ছিলেন নুসরত জাহান। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হন তিনি। সেই সংসদীয় কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ছে সন্দেশখালি। গোটা এলাকা যখন উত্তপ্ত তখন সাংসদ কোথায়, সেই প্রশ্ন উঠছে সব মহলেই।

Nusrat Jahan: মধ্যরাতে বিমানবন্দরে যশের সঙ্গে সাংসদ নুসরত, সন্দেশখালির প্রশ্ন শুনেই যা করলেন...
নুসরত জাহানImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 09, 2024 | 11:29 AM

কলকাতা: নতুন করে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। শাহজাহান শেখের অবস্থান নিয়ে যখন রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে, আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ছে পুলিশ, তারই মধ্যে লাঠি, চ্যালা কাঠ, গাছের ডাল হাতে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন মহিলারা। বেরিয়ে আসছে তৃণমূল নেতা শাহজাহান আর তাঁর ঘনিষ্ঠদের ‘কীর্তি’। মহিলাদের বিক্ষোভে যখন কার্যত অবরুদ্ধ গোটা সন্দেশখালি, তখন প্রশ্ন উঠছে, কোথায় এলাকার সাংসদ? তৃণমূল নেতাদের মুখে শাহজাহান প্রসঙ্গ যে একেবারে শোনা যায়নি তা নয়, তবে বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান এ ব্যাপারে বিশেষ শব্দ খরচ করেননি।

প্রথমে ইডি অফিসারদের ওপর বেনজির হামলা, তারপর শাহজাহান খানের বেপাত্তা হয়ে যাওয়া, তারপর মহিলাদের বিক্ষোভ। এতকিছুর পর মানুষ জানতে চাইছেন, সাংসদের কী প্রতিক্রিয়া। লোকসভা অধিবেশনের জন্য সম্প্রতি দিল্লি গিয়েছিলেন নুসরত জাহান। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কলকাতায় ফেরেন তিনি। বিমানবন্দরে দেখা যায় সঙ্গী যশের সঙ্গে হাত ধরে হেঁটে বেরিয়ে আসছেন।

সংবাদমাধ্যমের তরফে সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় নুসরতকে। মহিলারা রাস্তায়… কী বলবেন আপনি? আপনি কি সন্দেশখালি যাবেন? ক্যামেরার দিকে একঝলক তাকিয়েই সোজা হেঁটে যান নিজের গাড়ির দিকে। যশ দরজা খুলতে আগেই গাড়িতে উঠে যান নুসরত। না, এবারও সন্দেশখালি নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করেননি তিনি।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় তৃণমূলের অন্যতম তারকা চমক ছিলেন নুসরত জাহান। সেটাই প্রথমবার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়া অভিনেত্রীর। তবে নেহাত চমক নয়, রাজ্যে জোড়াফুল প্রতীকে যাঁরা জয়ী হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে সর্বাধিক ভোট পেয়েছিলেন নুসরত। ৭ লক্ষ ৮২ হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুকে হারিয়েছিলেন তিনি। নুসরতের সেই সংসদীয় এলাকার মধ্যেই পড়ে সন্দেশখালি। এতকিছুর পরও কেন মুখ খুলছেন না সাংসদ? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের আমলে শেষ অধিবেশন চলছিল লোকসভায়। বৃহস্পতিবার লোকসভায় ১০০ দিনের কাজের টাকা যাতে মিটিয়ে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানান নুসরত।