Train Accident: রেল দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদে সরব সুদীপ, ‘খেসারত দিতে হচ্ছে’ বলল বিজেপি

Jul 30, 2024 | 8:30 PM

Train Accident: ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কেন্দ্রকে আক্রমণ করার পর জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি। রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলকে আইসিইউ-তে ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। এটা আমার কথা নয়। মমতার পর তাঁরই দলের যিনি রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন, তিনিই একথা বলেছিলেন।"

Train Accident: রেল দুর্ঘটনা নিয়ে সংসদে সরব সুদীপ, খেসারত দিতে হচ্ছে বলল বিজেপি
ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে তরজায় তৃণমূল ও বিজেপি

Follow Us

কলকাতা: বারবার কেন রেল দুর্ঘটনা ঘটছে? মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে ট্রেন দুর্ঘটনার পর এই প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। রেল দুর্ঘটনা রুখতে কেন কবচ ব্যবস্থা দেশজুড়ে এখনও চালু হল না? এই প্রশ্ন তুলছে তারা। এবার এই নিয়ে তরজায় জড়াল তৃণমূল ও বিজেপি। একদিকে সংসদে রেল দুর্ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বিজেপি বলল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রেলকে আইসিইউ-তে পাঠিয়েছিলেন। তার খেসারত আজও দিতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার সংসদে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এখন প্রায় নিত্যদিন রেল দুর্ঘটনা ঘটছে। আমি গত কয়েক বছর রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। আমরা বারবার বলেছি, প্রথমে নিরাপত্তায় জোর দেওয়া দরকার। এখন প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। রেলমন্ত্রী কেন সংসদে এসে আমাদের কাছে তথ্য তুলে ধরছেন না?” এদিন ট্রেন দুর্ঘটনার পর কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কেন্দ্রকে আক্রমণ করার পর জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি। রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলকে আইসিইউ-তে ঢুকিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। এটা আমার কথা নয়। মমতার পর তাঁরই দলের যিনি রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন, তিনিই একথা বলেছিলেন। পরবর্তীকালে তাঁকে সরিয়ে মুকুল রায়কে মন্ত্রী করা হয়। তিনি কী করেছিলেন, তা সকলেরই জানা। তাই ঘোষণা সর্বস্ব তৃণমূলের যে রেলমন্ত্রক পরিচালনা, তারও খেসারত আজকে দিতে হচ্ছে। আর এখন রেলের ট্র্যাকগুলো ঠিক করার জন্য বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে। দুর্ঘটনা ঘটেছে এটা দুর্ভাগ্যজনক। সরকার দায় এড়াবে না। সরকার পাশে থাকবে।”

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে বাংলায় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রকের দায়িত্ব ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হন। তাঁর জায়গায় রেলমন্ত্রী হন দীনেশ ত্রিবেদী। পরে দীনেশ ত্রিবেদীকে সরিয়ে মুকুল রায়কে রেলমন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

রেল দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “দুর্ঘটনা কেন ঘটছে, সেটা দেখা দরকার। যদি রেলের তরফে ত্রুটি থাকে, তাহলে সেই ত্রুটি সংশোধন করা উচিত। আর করমণ্ডলের মতো যদি ষড়যন্ত্র থাকে, সেটাও চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। রেল দুর্ঘটনা কেউ সমর্থন করে না। রেলযাত্রা নিরাপদ হোক। কারণ ভারতের ৭০ শতাংশ লোক রেলের উপর নির্ভর করেন।”

মঙ্গলবার হাওড়া থেকে মুম্বইগামী সিএসএমটি মেল ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। এর আগে ১৮ জুলাই উত্তর প্রদেশের গোন্ডায় ডিব্রুগড়-চণ্ডীগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের। তার আগে গত ১৭ জুন দার্জিলিং জেলার রঙ্গাপানি রেল স্টেশনের সামনে মালগাড়ির ধাক্কায় লাইনচ্যুত হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় ১০ জনের। একের পর এক দুর্ঘটনায় রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

Next Article