AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রাজভবনের ‘বারান্দায় রোদ্দুর দেখছেন রাজ্যপাল’, শুভেন্দু-ধনখড় বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের

রাজ্যপালের এই আচমকা সফর নিয়ে একের পর এক কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতারা। এ বার সমালোচনায় সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।

রাজভবনের 'বারান্দায় রোদ্দুর দেখছেন রাজ্যপাল', শুভেন্দু-ধনখড় বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: Jun 16, 2021 | 7:35 PM
Share

কলকাতা: দিল্লি দরবারে গিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বুধবারই দেখা করেছেন কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রীর সঙ্গে। তারপর সেখান থেকে তিনি চলে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে। শোনা যাচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করতে পারেন। কিন্তু কী কারণে তাঁর দিল্লি সফর? কোন উদ্দেশ্য রাজধানী নিয়ে গিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান? পুরোটাই ধোঁয়াশায়। রাজ্যপালের এই আচমকা সফর নিয়ে একের পর এক কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতারা। এ বার সমালোচনায় সরব হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়।

তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদের সাফ বক্তব্য, “রাজ্যের শাসকদল ২০০-র বেশি আসন পাওয়ার কারণেই রাজ্যপাল এহেন আচরণ করছেন।” দিল্লিতে যেভাবে তিনি মন্ত্রীদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন, এমন কাজ রাজ্যপাল শোভা দেয় না, বক্তব্য সুখেন্দুর। একই সঙ্গে রাজভবনের বারান্দায় বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে করা বৈঠক প্রসঙ্গেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি। সুখেন্দু বলেন, “রাজ্যপাল বারান্দায় রোদ্দুর দেখছেন। ওদের চা খাওয়াচ্ছেন। ওনাকে আমার রাজ্যপাল বলতে লজ্জা করছে। বাংলায় শান্তি বিরাজ করছে, আর এই অবস্থায় নতুন করে উনি ষড়যন্ত্র করছেন। এখানে সাংবাদিক খুন হয় না, আশি বছরের বেশি কাউকে জেলে ভরা হয় না।”

তৃণমূলের পাশাপাশি বুধবার রাজ্যপালকে কটাক্ষের পথে হেঁটেছে বামেরাও। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এ দিন দাবি করেছেন, “রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন।” যা কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের প্রতিধ্বনি। এই প্রসঙ্গে সুখেন্দু বলেন, “বামফ্রন্টই তো ভোটের আগে বলেছে যে একুশে রাম পরে বাম। নির্বাচনের ফলাফলের পর এখন যদি মতাদর্শে কিছু সংশোধন আসে তবে স্বাগত।”

আরও পড়ুন: ‘রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন’, মমতার সুর ধরলেন বিমানও

অন্যদিকে, কলকাতা থেকে সেল-এর কাঁচামাল বিভাগের দফতর আচমকাই বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন সুখেন্দু। বলেন, “এই বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের। অন্য রাজ্য কাঁচামাল সস্তায় পাবে। অথচ এ রাজ্যকে এরপর পাঁচগুণ দামে কিনতে হবে। বেসরকারিকরণের একটা পদক্ষেপ এটা। সংসদের বাদল অধিবেশনে বিষয়টি তুলব।” উল্লেখ্য, সেল-এর দফতর বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও।

আরও পড়ুন: ‘বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে অসংখ্য পরিবার’, সেল-এর দফতর বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি অমিতের