‘বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে অসংখ্য পরিবার’, সেল-এর দফতর বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি অমিতের

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে বহু কর্মচারী এই অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

'বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে অসংখ্য পরিবার', সেল-এর দফতর বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি অমিতের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 4:44 PM

কলকাতা: রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সেল)-র কাঁচামাল বিভাগের দফতর আচমকাই কলকাতা থেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিষয়টি নিয়ে এ বার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের জেরে বহু কর্মচারী এই অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে কর্মহীন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সেল-এর র’ মেটিরিয়ালস ডিভিশন বা আরএমডি-তে স্থায়ী কর্মচারীর সংখ্যা ১৫০-র কাছাকাছি। অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি। কেন্দ্রের এই একটি মাত্র সিদ্ধান্ত সেই কর্মীদের পরিবারকে মারাত্মক সঙ্কটে ফেলে দেবে বলে উল্লেখ করেছেন অমিত মিত্র। এর ফলে চূড়ান্ত সমস্যার মধ্যে পড়ে যাবে পশ্চিমবঙ্গের দুই রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সংস্থা দুর্গাপুর ষ্টিল প্লান্ট এবং ইসকো। ভবিষ্যতে ওই দুই শিল্প সংস্থার অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়ে যেতে পারে বলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ‘পিকলুর সঙ্গে ওকে কী অবস্থায় দেখা গিয়েছিল চার তলার ঘরে!’ ছবি-সহযোগে রত্নার ‘ব্যাভিচারী জীবনের’ রহস্যভেদ শোভনের

এ বাদে আরও বিবিধ কারণের কথা উল্লেখ করে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছেন, সেল যেন নিজের দফতর কলকাতা থেকে না গুটিয়ে নেয়। এমনটা হলে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যক্ষভাবে বহু কর্মী যে কাজ হারাবেন তা বারংবার চিঠিতে লিখেছেন অমিত মিত্র। কেননা তাঁর স্পষ্ট দাবি, দফতর বন্ধ হলে বিপর্যস্ত হবেন কর্মীরা। যেহেতু পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের পাশাপাশি স্টিলের দায়িত্বও ধর্মেন্দ্রর কাঁধেই রয়েছেন, সেই কারণে তাঁকেই এই চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ‘জামাইষষ্ঠীতে হাফ জামাই সেজে সম্পত্তি ত্যাগ করছে…’, ‘নিরীহ’ টু্ইট কুণালের