ছাত্রীদের সঙ্গে যৌনতার ভিডিয়ো লুকিয়ে রেকর্ড করাই ছিল নেশা, ‘আসল খেলা’ শুরু হত তারপরই, এত বছর পর মুখোশ খুলল অধ্যাপকের!
Crime: তার ফোন থেকে ৬৫টি অশ্লীল ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে, যা তিনি গোপনে রেকর্ড করেছিলেন। এর মধ্যে ৫৯টি ভিডিয়ো দিয়ে ছাত্রীদের নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করেছেন। তাদের সঙ্গে বারবার যৌন সম্পর্ক, বিকৃত যৌন ক্রিয়া করাতে বাধ্য করতেন বছর পঞ্চাশের অধ্যাপক।

লখনউ: দিনের পর দিন, বছরের পর বছর ধরে চলছিল কুকীর্তি। মুখ খুলত না কেউ। একটা উড়ো চিঠিই ফাঁস করে দিল ভূগোলের অধ্যাপকের কুকীর্তি। বেরিয়ে এল কীভাবে একের পর এক ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন ওই অধ্যাপক। যৌনতার ভিডিয়ো গোপনে রেকর্ড করে রাখতেন। তারপর সেই ভিডিয়ো দিয়ে চলত ব্ল্যাকমেইল। এভাবেই প্রায় শতাধিক ছাত্রীকে শিকার বানিয়েছিলেন।
উড়ো চিঠি পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছিল উত্তর প্রদেশ পুলিশ। ৭২ ঘণ্টা পর অবশেষে অভিযুক্ত অধ্যাপককে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, তার ফোন থেকে ৬৫টি অশ্লীল ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে, যা তিনি গোপনে রেকর্ড করেছিলেন। এর মধ্যে ৫৯টি ভিডিয়ো দিয়ে ছাত্রীদের নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করেছেন। তাদের সঙ্গে বারবার যৌন সম্পর্ক, বিকৃত যৌন ক্রিয়া করাতে বাধ্য করতেন বছর পঞ্চাশের অধ্যাপক।
পুলিশের কাছে যে উড়ো চিঠি এসেছিল, তার সঙ্গেই একটি পেন ড্রাইভ পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যেই বিভিন্ন ভিডিয়ো দেখা যায়। ওই চিঠিতে লেখা ছিল, অভিযুক্ত অধ্যাপকের কাছে এমন বহু ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিয়ো রয়েছে।
পুলিশের কাছে অভিযুক্ত দাবি করেছে, বিগত কয়েক বছর ধরেই সে ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহ, জোর করে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিয়ো রেকর্ডিং শুরু করেছিল। ২০০৯ সালে তাঁর কলেজের এক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। সেই সময়ই প্রথম ওয়েব ক্যামে তিনি যৌনতার ভিডিয়ে রেকর্ড করেন। এরপরই তা নেশায় পরিণত হয়। ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে, কখনও আবার ব্ল্যাকমেইল করে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন এবং তা রেকর্ড করে রাখতেন। একাধিক ভিডিয়ো তিনি পর্ন সাইটে আপলোডও করে দিয়েছেন বলে দাবি। অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।





