‘রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন’, মমতার সুর ধরলেন বিমানও

বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিমান বলেন, "রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন।" যা কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের প্রতিধ্বনি। 

'রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন', মমতার সুর ধরলেন বিমানও
অলংকরণ- অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 6:03 PM

কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভূমিকা নিয়ে এ বার তীব্র সমালোচনার সুর ধরলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় সুর সপ্তমে থাকা বর্ষীয়ান নেতার এহেন মন্তব্য যে কিছুটা হলেও বিস্ময়কর, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, রাজ্যপালের কার্যপদ্ধতি নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করে বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিমান বলেন, “রাজ্যপাল সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন।” যা কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের প্রতিধ্বনি।

আলিমুদ্দিনে এ দিন বিমান বলেন, “রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করে কাজ করছেন। তিনি উত্তরবঙ্গে গেলেন, আরও একাধিক জায়গায় গেলেন, সব জায়গাতেই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়েই ঘুরছেন। তিনি একজন বিজেপি নেতার মতোই কাজ করছেন। এটা একজন রাজ্যপালের ভূমিকা হতে পারে না।” রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে রাজ্যপালের ইস্যুতে অন্তত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়াচ্ছে বামেরা। যা বামেদের স্বভাবসিদ্ধ এবং চিরাচরিত অবস্থানের কিছুটা হলেও বিপরীত। এর মাধ্যমে একাধারে যেমন তৃণমূল নেত্রীর সুরেই তিনি সুর মেলালেন, তেমনই বিজেপির প্রতি বিষোদগারও আরও জোরাল করলেন।

বিজেপি বিধায়কের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল কেন সর্বক্ষেত্রে এতটা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করছেন? কেনই বা বিজেপি বিধায়করা দল বেঁধে গেলে বারান্দা খুলে দিয়ে তিনি বসে বৈঠক করছেন? এমন সব তীক্ষ্ণ প্রশ্নও তুলতে শোনা যায় বিমান বসুকে। বামফন্ট্রের এই সুর যে কার্যত বিজেপিকে আরও চাপে ফেলার জন্য তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

আরও পড়ুন: জোড়া ঘূর্ণাবর্ত এবং অক্ষরেখার দাপটে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায়, ভিজবে উত্তরবঙ্গও

যদিও বিধানসভায় যেহেতু বর্তমানে বাম-কংগ্রেসের আসন সংখ্যা শূন্য, তাই বিমানের এই অবস্থান তৃণমূলের জন্য রাজনৈতিকভাবে খুব একটা লাভদায়ক হওয়ার সম্ভবনা নেই। কিন্তু, বামেদের এই সুর পরোক্ষে বিজেপির উপর চাপ কিছুটা হলেও বাড়াবে, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। কারণ আরও একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলের সুরেই কথা বলেছে বামেরা। রাজ্য সরকারের দাবি অনুসরণ করেই বিমান বসুকে বলতে শোনা গিয়েছে, “জিএসটি চাপানো হচ্ছে অতি প্রয়োজনীয় ও করোনার ওষুধের উপর। এটা বন্ধ করতে হবে।”

আরও পড়ুন: ‘বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে অসংখ্য পরিবার’, সেল-এর দফতর বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি অমিতের