কলকাতা: জরুরি পরিষেবার কাজের জন্য গাড়ি ভাড়ায় নিয়েছিল বছর চারেক আগে। কিন্তু সেই ভাড়া বাবদ বিলের টাকা আজও জমা পড়েনি পরিবহন দফতরের কাছে। সেই টাকার অঙ্ক প্রায় ১০ কোটি টাকা। পরিবহন দফতরের সরকারি তথ্য বলছে, ৭.৫০ কোটি টাকা প্রাপ্য তাদের। আর বেসরকারি হিসেব বলছে, অঙ্কটা ১০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
পরিবহন দফতরের একটি চিঠি বলছে, যেখানে পরিবহন দফতরের ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা, সেখানে এভাবে বকেয়া থাকায় চরম সঙ্কটে পরিবহন দফতরের বিভিন্ন কাজ। কার্যত সঙ্কটে পড়ে রাজ্যের পরিবহন দফতর সরকারি দফতরগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিতে বলেছে।
পরিবহন দফতরের এক শীর্ষকর্তার কথায়, এই ধরনের চিঠি প্রায় তিনবার লেখা হল। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে শুরু করেন রাজ্যের বাসিন্দারা। গোটা বিশ্ব জুড়ে শুরু হয় লকডাউন। কিন্তু জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত রাজ্য সরকারের কর্মীরা, যাতায়াত করবেন কীভাবে? সেই সময় পরিবহন দফতরের থেকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর, শহর এবং শহরতলির একাধিক কলেজ, কলকাতা হাইকোর্ট, আইসিডিএস, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, কলকাতা পুরসভা, ইএসআই হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য থেকে পুর নগরোন্নয়ন দফতর সহ একাধিক জায়গার জন্য গাড়ি চেয়ে নেওয়া হয়।
তারপর প্রায় চার বছর অতিক্রম করে পাঁচ বছর পড়তে চলল। সরকারি দফতর তো দূর অস্ত, একাধিক কলেজ এবং নির্বাচন আধিকারিকের অফিসও সেই টাকা আজও ছাড়েনি। পরিবহন দফতরের কথায়, বকেয়া টাকা মিটিয়ে দিলে দফতরের কঙ্কালসার চেহারা ঠিক করার সাহায্যে লেগে যেত।
তেলের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবহন দফতরকে। এই বকেয়া মিটিয়ে দিলে তাদের কিছুটা পরিবর্তন হতো বলেই দাবি। শহরের বুক থেকে একাধিক বাস মেরামতি এবং অন্যান্য কাজের অভাবে বসে গিয়েছে। টাকা নেই। তাই বাসগুলো চালু করা যাচ্ছে না। হাতে অর্থ পেলে গণপরিবহনকে ঢেলে সাজাতে চায় রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু আদৌ তাদের সমস্যা মিটবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে।