কলকাতা: ট্রায়াল রান শেষ। বাংলায় প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন ‘বন্দে ভারত’-এর (Vande Bharat Express) যাত্রী নিয়ে ছুটে চলা এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি (HWH-NJP) পর্যন্ত ৫৬৪ কিলোমিটার পথ যেতে সময় লাগবে মাত্র ৮ ঘণ্টা। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটে চলবে এই বন্দেভারত এক্সপ্রেস। তবে শুধু গতি নয়, এই বিশেষ ট্রেনের আরও বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য এবং সুরক্ষা বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। ট্রেনে রয়েছে মূলত দুটি বিভাগ – ইকোনমিক ক্লাস ও এক্সিকিউটিভ ক্লাস। এই ট্রেনের ইন্টিরিয়র রীতিমত যাত্রীদের তাক লাগিয়ে দেবে যাত্রীদের। ইন্ট্রিগ্রেটেড ইঞ্জিন বিশিষ্ট ট্রেন মাত্র ৪০ সেকেন্ডে গতি বাড়িয়ে তীব্র গতিতে দৌড়নোর ক্ষমতা আছে।
ইকোনমিক এবং এক্সকিউটিভ ক্লাস মিলিয়ে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি এই বন্দেভারত এক্সপ্রেসে রয়েছে মোট ১১২৮ টি আসন। ইকোনমিক ক্লাসের কামরায় আসনগুলি নীল রঙের এবং এক্সিকিউটিভ ক্লাসের ভিতরের আসনগুলির রঙ লাল রঙের। ইকোনমিক ক্লাসেও যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে মডিউলার রেকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই মডিউলার রেকগুলিতে যাত্রীরা ব্যাগপত্র রাখতে পারবেন। পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ থাকছে। একটি কামরা থেকে অন্য কামরায় যাওয়ার জন্য থাকছে অটোমেটিক সেন্সরযুক্ত দরজা।
ট্রেনে ওঠা-নামার জন্য যে দরজা রয়েছে, সেগুলিও মেট্রোর মতো স্বয়ংক্রিয়। ট্রেন প্লাটফর্মে সম্পূর্ণ থামার পর এই দরজা খুলে যাবে এবং যাত্রীরা ওঠা-নামা করতে পারবেন। অর্থাৎ, ট্রেন সম্পূর্ণ থামার আগে এই দরজা কোনওভাবেই খুলবে না। এক্সিকিউটিভ ক্লাসে আবার প্রতিটি চেয়ার ঘূর্ণায়মান। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাবে আসনগুলি। অর্থাৎ, যাত্রীরা নিজেদের সুবিধা মতো ঘুরিয়ে নিতে পারবেন আসনগুলি। পাশাপাশি মডিউলার রেক থাকছে, প্রতিটি আসনের সঙ্গে চার্জিংয়ের ব্যবস্থা থাকছে। সেখানে মোবাইল বা ল্যাপটপ চার্জ দিতে পারবেন যাত্রীরা। ট্রেনে থাকছে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থাও। চাইলে ইন্টারনেটের সুবিধাও পাবেন যাত্রীরা।
আগামী ৩০ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে এই ট্রেনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে। রেল সূত্রে খবর, নতুন বছর থেকেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বুধবার বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলি হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাতায়াত করবে।