Lakshmir Bhandar: দু’টি কেন্দ্র ছাড়া উত্তরের ‘দখল’ বিজেপির হাতেই, তাহলে কি কাজ করল না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার?
Lakshmir Bhandar: রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প যদি দক্ষিণবঙ্গে ম্যাজিকের মত কাজ করে, তাহলে একই প্রকল্প উত্তরবঙ্গে কাজ করল না কেন? আর এই প্রকল্পগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি করে উঠে আসছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা।

কলকাতা: প্রচারে ঝড় তুলেও রাজ্যে ভোট বাক্সে ঝড় তুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। ২৯টি আসন নিয়ে রাজ্যে আবার সবুজ আবিরের ছড়াছড়ি। অন্যদিকে ২০১৯ থেকে ৬টি আসন কম পেয়ে আশাহত বিজেপি শিবির। মোট ফলাফলে রাজ্যে বিজেপি তৃণমূলের থেকে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও, ছবিটা একেবারেই অন্য উত্তরবঙ্গে। আলিপুরদুয়ার থেকে মালদহ। সাতটি জেলা উত্তরবঙ্গের অংশ। সাতটি জেলার ৮টি লোকসভা আসন। যার ছ’টি বিজেপির দখলে। একমাত্র কোচবিহারে জোড়া ফুল ফুটেছে। আর মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্র কংগ্রেসের হাতই ধরে রেখেছে। আর প্রশ্নটা ঠিক এখানেই।
রাজ্য সরকারের একাধিক প্রকল্প যদি দক্ষিণবঙ্গে ম্যাজিকের মত কাজ করে, তাহলে একই প্রকল্প উত্তরবঙ্গে কাজ করল না কেন? আর এই প্রকল্পগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি করে উঠে আসছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কথা। তারও একটা কারণ আছে। উত্তরবঙ্গের ভোট হয়েছে প্রথম তিনটি দফায়। পরিসংখ্যান বলছে, এই তিন দফাতেই উত্তরবঙ্গের প্রায় সবকটি কেন্দ্রে পুরুষদের থেকে মহিলারা বেশি ভোট দিয়েছেন। রাজ্যে প্রথম দফায় ভোট হয়েছে ৩টি কেন্দ্রে, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি। তথ্য বলছে, এখানে পুরুষ ভোটার ৮১.২৫ শতাংশ। মহিলা ভোটার ৮২.৫৯ শতাংশ।
রাজ্যে দ্বিতীয় দফাতেও ভোট হয় ৩টি কেন্দ্রে, দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে। এখানে পুরুষ ভোটার ৭৫.২২ শতাংশ। মহিলা ভোটার ৭৭.৯৯ শতাংশ। রাজ্যে তৃতীয় দফায় ভোট হয় ৪টি কেন্দ্রে। মালদহ উত্তর, মালদহ দক্ষিণ, জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। সেখানে পুরুষ ভোটার ৭২.২১ শতাংশ। মহিলা ভোটার ৮৩.২১ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে ভোটের এই তিনটি পর্বেই মহিলা ভোটার সংখ্যা বেশি। তাহলে কী উত্তরে কাজ করেনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? নাকি উত্তরের উত্তরে আছে আরও অনেক ফ্যাক্টর? প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
