কলকাতা: উত্তরবঙ্গের আট লোকসভা আসন ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে শূন্য হাতে ফিরিয়েছিল তৃণমূলকে। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রে স্থানীয় বিধায়ক, ভূমিপুত্রদের ওপর ভরসা রেখেছে রাজ্যের শাসক শিবির। সোজা কথায়, সাংগঠনিক স্তরে যাদের হাত শক্ত, যাদের কামড় রয়েছে তৃণমূল স্তরে, তাঁদের উপরেই উত্তরে বেশি ভরসা রাখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু জলপাইগুড়ি নিয়ে তৃণমূল যেন একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী। কয়েকদিন আগে একটি এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টও করে তৃণমূল। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় ‘জলপাইগুড়ি তে কী বিজেপি হারছে’। কী কারণে এত আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল? কী সেই অনুঘটক যা তৃণমূলকে বাড়তি বিশ্বাস যোগাচ্ছে ? সে কি ঘূর্ণিঝড় ?
ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের পাশে মাঝরাতে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিষেকও। ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। কেন বেশি টাকা দিতে দিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন তা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশও করেছে তৃণমূল। চলছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ঝড়ে ক্ষতিপূরণে কোনও বাধা দিচ্ছে না কমিশন। মিথ্যা রটাচ্ছে তৃণমূল। এ নিয়ে এদিন এক্স হ্যান্ডেলে একটা পোস্টও করেছেন তিনি।
যদিও পরবর্তী ধাপে আবারও চল্লিশ হাজার টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ভোট মিটলে দেবে ৬০ হাজার টাকা। এই ঘূর্ণিঝড় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোই খেলা ঘোড়াবে জলপাইগুড়িতে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এমনই প্রত্যাশা তৃণমূলের। জলপাইগুড়িতে ধূপগুড়ি মহকুমায় তৃণমূলের ভোট বাড়াবে। উপনির্বাচনের জয়ের ধারা অব্যহত থাকবে বলেই মত তৃণমূলের। অন্যদিকেবিজেপির এই কেন্দ্রে শক্তির মূল জায়গা রাজবংশী ভোট। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফল আর রাজবংশী ভোট যেমন বিজেপির আত্মবিশ্বাসের একটা বড় কারণ ঠিক তেমনই তৃণমূলের কাছে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রেরণা দিচ্ছে। একুশের বিধানসভায় জলপাইগুড়ির তিনটি আসনে জয় লাভ করেছে তৃণমূল। চারটি বিজেপির। এই ফলাফলের ওপর দাঁড়িয়ে ধূপগুড়ি মহকুমা এবং ঘূর্ণিঝড়কেই গেম চেঞ্জার মনে করছে তৃণমূল। এখন দেখার কী বলে জলপাইগুড়ি! ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের সঙ্গে ভোট রয়েছে জলপাইগুড়িতে।