Sandip Ghosh: ‘ওই বাড়ি সম্পূর্ণ বেআইনি’, শুনানিতে উঠল জোরাল আওয়াজ, বেরিয়ে গেলেন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী
Sandip Ghosh: সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে এ ব্যাপারে একটা স্থগিতাদেশ মিলেছে। কিন্তু পুরসভা শুনানি চালাতে পারবে। বেশকিছু নথি এদিন পুরসভা দেখাতে পারিনি।
কলকাতা: সন্দীপ ঘোষের ‘বেআইনি’ বাড়ির শুনানি ঘিরে উত্তপ্ত পুরসভার হিয়ারিং অফিসারের ঘর। মাঝপথেই শুনানি বন্ধ। বেরিয়ে গেলেন সন্দীপ ঘোষের আইনজীবী। মিলল না বাড়ির নকশা, ঠিক বাড়ির কতটা অংশ বেআইনিভাবে নির্মাণ করা হয়েছে সেই তথ্যেরও হদিশ মেলেনি। দাবি অভিযোগকারীর। প্রসঙ্গত, সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়ি ‘বেআইনি’ জানিয়ে ইতিমধ্যেই সেই নির্মাণে নোটিশ লাগিয়ে দিয়েছে কলকাতা পৌরসভা। বুধবার পুরসভায় সেই সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি ছিল।
শুরু থেকেই রীতিমতো তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়লেন পুরসভার তরফে শুনানির দায়িত্বে থাকা আধিকারিক এবং অভিযোগকারী অংশুমান সরকার। যার জেরে মাঝপথেই থমকে গেল শুনানি। বেরিয়ে গেলেন সন্দীপ ঘোষের তরফে আসা আইনজীবীও। অভিযোগকারী অংশুমান সরকারের অভিযোগ, শুনানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু নথি থাকা প্রয়োজন। সেগুলি আনার করার ব্যাপারে কোনও সক্রিয় ভূমিকা নেই পুরসভার। তাঁর দাবি, সন্দীপ ঘোষকে বাঁচাতে চাইছে পুরসভা। এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর বক্তব্য, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে এ ব্যাপারে একটা স্থগিতাদেশ মিলেছে। কিন্তু পুরসভা শুনানি চালাতে পারবে। বেশকিছু নথি এদিন পুরসভা দেখাতে পারিনি। বেরিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, “পরবর্তীকালে যেদিন শুনানির সময় দেওয়া হবে, সেই সময় আসব।” কিন্তু এখানেও রয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু প্রশ্ন। দীর্ঘদিন হাতে সময় পাওয়ার পরেও কেন সন্দীপ ঘোষের বাড়ি সংক্রান্ত নকশা হাতে এল না, একইসঙ্গে কতটা অংশ বেআইনি তা নিশ্চিত করতে পারল না পুরসভা? কেন এত টালবাহানা?
এদিকে এদিনই অংশুমান সরকার হিয়ারিং অফিসারের সামনে কার্যত জোর গলায় দাবি করেন, ওই বাড়ি সম্পূর্ণ বেআইনি। এভাবে ঝুলিয়ে রাখা যাবে না। কেন কোনও তথ্য জোগাড় করতে পারলো না পুরসভা? সেই প্রশ্ন তোলেন তিনিও। এই লড়াই তিনি চালিয়ে যাবেন বলেও হিয়ারিং অফিসারের সামনে হুঙ্কার দেন। স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হিয়ারিং অফিসারের ঘর।