Debraj Mitra passes away : ‘সব ঠিক আছে’, ঠিক আর রইল কই দেবরাজ…
Debraj Mitra passes away : সদাহাস্য মানুষটার শরীরেই বছর খানেক আগে বাসা বেঁধেছিল কর্কট রোগ। তারপর থেকে রাজারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা।
‘আর নেই দেবরাজ’, মৃত্যুর খবরটা যখন এল তখন যেন নিজের কানেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না সহকর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন সেই শুরুর দিন থেকে। দীর্ঘ পথচলার মাঝে কবেই যেন টিভি-৯ পরিবারের এক্কেবারে ঘরের লোক উঠেছিলেন বছর চুয়াল্লিশের মানুষটা। গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের (Graphic Designing) কাজেও যেমন ছিলেন পারদর্শী, তেমনই মানুষের মন জয়েও তাঁর জুড়ি মেলা ভার। ঠোঁটের কোণে হাসিটা লেগে থাকত সর্বদাই। আর সেই হাসির রেশ ছড়িয়ে পড়ত নিউজ ডেক্সের (News Desk) আনাচে-কানাচে। মাতিয়ে রাখতেন গোটা ফ্লোর। গাদাগাদি করে থাকা মন খারাপের খবরের ভিড়ে ভারাক্রান্ত নিউজ রুম যেন পেত হাসির অক্সিজেন। সব সময় বলতেন ‘সব ঠিক আছে।’ কারণে হোক, কিংবা অকারণে, রাগ করতে বা মাথা গরম করে তাঁকে শেষ কথা বলতে দেখা গিয়েছে তা মনে করতে পারছেন না কোনও সহকর্মীই। সদাহাস্য সেই মানুষটার শরীরেই বছর খানেক আগে বাসা বেঁধেছিল কর্কট রোগ। তারপর থেকে রাজারহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চলছিল চিকিৎসা। তবে দীর্ঘ লড়াই শেষে অস্ত গেল সূর্য। মারণ ক্যানসারের কামড়েই শেষ হাসি হেসে চিরনিদ্রায় চলে গেলেন টিভি-৯ বাংলার গ্রাফিক ডিজাইনার দেবরাজ মিত্র।
পড়াশোনা করেছিলেন মাল্টিমিডিয়া নিয়ে। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কলকাতার একাধিক মিডিয়া হাউসে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসাবে কাজ করেছেন। বাংলায় পথচলা শুরুর পর থেকে ছিলেন টিভি-৯ পরিবারেই। তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যুতে শোকের ছায়া সংবাদ জগতে। বাড়িতে মা-বাবার, স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছে ৮ বছরের একটা ফুটফুটে কন্যা সন্তানও। ঘরের মানুষকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁরাও।
দেবরাজ মিত্রের মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী তথা টিভি-৯ বাংলার চিফ রিপোর্টার তন্ময় প্রামাণিকও। খানিক ভারাক্রান্ত মনেই তিনি বলেন, “ ও সারাক্ষণই হাসিখুশি থাকত। ওর মতো হাসিখুশি মানুষ খুব কম দেখেছি। এমনকী যখন জানতে পেরেছে যে মারণ রোগ ওকে ধরেছে তারপরেও হাসিমুখেই তা মেনে নিয়েছিল। ডাক্তারের মুখে ক্যানসারের কথা জানার পরেও ওর হাসি কিন্তু মিলিয়ে যায়নি। এরকম লড়াকু মানুষ সাধারণত দেখা যায় না। ক্যানসার ধরার পড়ার পর বাড়িতে বসেও কিছুদিন কাজ করেছিল। সবসময় বলত, যা হবে দেখা যাবে, আগে তো লড়ি। তবে মেয়েটার ভবিষ্যতের কথা ভেবে একটু ভেঙে পড়েছিল।”