কলকাতা: বাঙালির আদর বিশ্বজোড়া। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয়, পৃথিবীর কম বেশি প্রতিটি দেশেই বাঙালির সুখ্যাতি মুখে মুখে ফেরে। বাঙালির মনন চিন্তন, কৃষ্টি, ঐতিহ্য, সৃজনশীলতা, শিল্পনৈপুণ্য, আবেগে টইটম্বুর হৃদকমল আর কারই বা আছে। বাঙালি নন, অথচ বাঙালির গুণগ্রাহী, এমন মানুষও কম নেই বিশ্বসংসারে। গোপালকৃষ্ণ গোখলে তো সেই কবেই বলে গিয়েছেন, বাংলা আজ যা ভাবে, আগামিকাল তা ভারত ভাবে। সহজ কথায়, বাঙালির যাপনই বাঙালিয়ানা। সেই বাঙালিয়ানাকে এবার একটু অন্যভাবে উদযাপন করবে টিভি নাইন বাংলা। আলোচনা, আত্মসমীক্ষার দর্পণে বিশ্ব বাঙালি চেখে দেখবে বাঙালিয়ানা। টিভি নাইন বাংলার এই প্রয়াস টিভি নাইন বাঙালিয়ানা।
টিভি নাইন বাঙালিয়ানা হল দেশ-বিদেশের বাঙালিকে একত্রিত করে একটা আত্মসমীক্ষা এবং চর্চা। শুধু বাংলা বা ভারতেই নয়, বিদেশেও এমন বহু কৃতী বাঙালি রয়েছেন যাঁদের এই টিভি নাইন বাঙালিয়ানা শিকড়ের আরও কাছে টেনে নিয়ে আসবে। টিভি নাইন বাঙালিয়ানা তাঁদের সাফল্যের উদযাপন করবে।
টিভি নাইন নেটওয়ার্কের সিইও বরুণ দাসের কথায়, “টিভি নাইন বাঙালিয়ানা আর কিছু নয়, এটা দেশ-বিদেশের বাঙালিদের একত্রিত করে একটা আত্মসমীক্ষা এবং চর্চা। এখনও কৃতী বাঙালিরা আছেন সারা ভারতে বা বিদেশে, তাঁদের সাফল্যের উদযাপন। এই আত্মসমীক্ষার মধ্য দিয়ে দেখা আমাদের গতকালটা কী ছিল, আজও সেকরম আছে কি না এবং আজ যদি গতকাল বা অতীতের থেকে ভালো না-হয় তাহলে কী ভাবে আমরা আবার ভালো করতে পারি? এরকমই একটা চর্চা হচ্ছে টিভি নাইন বাঙালিয়ানা।”
এই টিভি নাইন বাঙালিয়ানার হাত ধরেই অনুষ্ঠিত হবে ‘টেলিথন’। বাংলা টেলিভিশনে টেলিথন নিঃসন্দেহে দৃষ্টান্ত। দেশ-বিদেশ ও রাজ্যের স্বনামধন্য বাঙালিরা থাকবেন এই টেলিথনে। মূলত এটি একটি আলোচনামূলক অনুষ্ঠান। আলোচনার বিষয়, বাঙালির কাল কী ছিল, আজ কী আছে এবং আগামিকাল কী হওয়া উচিত, তা নিয়েই। এই টিভি নাইন বাঙালিয়ানা টেলিথন হবে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে।
শ্রী বরুণ দাসের কথায়, “টিভি নাইন বাঙালিয়ানায় যে সাড়া মিলেছে, তা একেবারে অভূতপূর্ব। বহু কৃতী বাঙালি, শুধু পশ্চিমবঙ্গ থেকে নয়, বিদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকেও এই টিভি নাইন বাঙালিয়ানায় জুড়ে গিয়েছেন। টিভি নাইন বাঙালিয়ানার জন্য একটা উপদেষ্টা কমিটি আমরা তৈরি করেছি। তাতে দেশ-বিদেশ ও রাজ্যের কৃতী বাঙালিরা অংশগ্রহণ করেছেন। টিভি নাইন বাঙালিয়ানার কয়েকটি বিষয় আছে। ইতিমধ্যেই একটা সমীক্ষা শুরু করেছি আমরা। টিভি নাইন বাঙালিয়ানা একটা সার্ভে যেখানে দেখে নেওয়া — বাঙালিরা নিজেদের সম্পর্কে কী ভাবছেন, অন্যরাই বা কী ভাবছেন। ভারতের অন্যান্য প্রদেশের লোকজন বাঙালিদের ৩০-৪০ বছর আগে যে ভাবে দেখতেন, তাঁরা কি এখনও সেভাবে দেখছেন? এমনই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। একইসঙ্গে কোনও ক্ষেত্রে উন্নতির প্রয়োজন থাকলে তার পথগুলো কী হতে পারে? সমীক্ষা হচ্ছে সে সব নিয়েই।”