কলকাতা: ইডেনের ভারত-নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচের টিকিটে কালোবাজারির অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করেছে ময়দান থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ৭৩টি টিকিট পাওয়া গিয়েছে। সাড়ে ৬০০ টাকার টিকিট আড়াই হাজার টাকা দিয়েও বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।
রবিবার ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-নিউজ়িল্যান্ড তৃতীয় টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই ম্যাচের টিকিট চড়া দামে বিক্রি করার অভিযোগে শনিবার রাতে ময়দান থানার পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে ৬০টি টিকিট পাওয়া যায়। এর মধ্যে সাড়ে ৬০০ টাকার টিকিট ছিল। যেগুলি অভিযুক্তরা আড়াই হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে দেড় হাজার টাকার টিকিটও ছিল তাঁদের কাছে। যেগুলি ধৃতরা চার হাজার টাকায় বিক্রি করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্লাব হাউসের পাশে ঘুরে টিকিট বিক্রি করছিলেন তাঁরা। টিভি নাইন বাংলার স্টিং অপারেশনেই উঠে আসে এই কালো দিক। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে ১৩টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়।
টিকিটের কালোবাজারি নিয়ে স্টিং অপারেশনে নেমে বাঁকা নামে এক টিকিট ব্ল্যাকারের খোঁজ পায় টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। সেই বাঁকাই জানান, সাড়ে ৬০০ টাকার টিকিট তাঁর কাছ থেকে নিলে ১৫০০ টাকা দিতে হবে। এরপরই ওই যুবক দাবি করেন, তিনি ক্লাবের ছেলে। তাই তাঁর জন্য এই টিকিট ১৫০০ টাকা। বাঁকা টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিকে জানান, “আমার জন্য ১৫০০… মানে আমি ক্লাবের ছেলে বলে ১৫০০। আপনি আসলে ১৬০০, ১৭০০ হতে পারে। বাড়তে পারে তো কমবে না।”
ধর্মতলায় বাঁকার বাড়ি। সবসময়ই তাঁকে এই চত্বরে পাওয়া যাবে বলেই জানান তিনি। শনিবার সেখানে পৌঁছন টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। এরপর বাঁকা অন্য একজনের কাছে নিয়ে যান টিকিটের জন্য। সেই ব্যক্তি জানান, এত দাম হাঁকাতে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন। বহু হাতে টাকা গুঁজে তারপর একটা টিকিট বের করে আনতে হয় তাঁদের।
কোন পথে এল সাফল্য?
ময়দান থানার পুলিশ একদিকে যেমন সাদা পোশাকে নজরদারি চালাচ্ছিল। একই ভাবে গোপন বেশে নজরদারিতে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগও। ময়দান থানার পুলিশের জালে ১২ জন গ্রেফতার হয়। অন্যদিকে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ৫জনকে ধরে।
চড়া কালোবাজারি চলছিল এই টিকিট নিয়ে। যেহেতু এতদিন পর ইডেনে বড় ম্যাচ তাই সমস্ত ক্রিকেটপ্রেমীই চেষ্টা করেছেন মাঠে গিয়ে খেলা দেখার। ক্রিকেট জ্বরে এই মুহূর্তে কাঁপছে বাংলা। আর সেই সুযোগকেই পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে দেদার টিকিট ব্ল্যাক করা চলছিল।
দু’ বছর আগে ভারত-বাংলাদেশ গোলাপি টেস্ট আয়োজিত হয়েছিল ইডেন গার্ডেন্সে। এরপর ২০২০-র মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জন্য তা সম্ভব হয়নি। বাতিল হয়ে যায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। এতদিন পর আবার রবিবারের কলকাতায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কলকাতায়।
আরও পড়ুন: Weather Update: তাপমাত্রা বাড়লেও রয়েছে সুখবর, কবে থেকে ফিরছে ঠান্ডার আমেজ জানাল হাওয়া অফিস
কলকাতা: ইডেনের ভারত-নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচের টিকিটে কালোবাজারির অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করেছে ময়দান থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ৭৩টি টিকিট পাওয়া গিয়েছে। সাড়ে ৬০০ টাকার টিকিট আড়াই হাজার টাকা দিয়েও বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে ধৃতদের বিরুদ্ধে।
রবিবার ক্রিকেটের নন্দনকানন ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-নিউজ়িল্যান্ড তৃতীয় টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই ম্যাচের টিকিট চড়া দামে বিক্রি করার অভিযোগে শনিবার রাতে ময়দান থানার পুলিশ সাতজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে ৬০টি টিকিট পাওয়া যায়। এর মধ্যে সাড়ে ৬০০ টাকার টিকিট ছিল। যেগুলি অভিযুক্তরা আড়াই হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে দেড় হাজার টাকার টিকিটও ছিল তাঁদের কাছে। যেগুলি ধৃতরা চার হাজার টাকায় বিক্রি করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্লাব হাউসের পাশে ঘুরে টিকিট বিক্রি করছিলেন তাঁরা। টিভি নাইন বাংলার স্টিং অপারেশনেই উঠে আসে এই কালো দিক। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। তাঁদের কাছ থেকে ১৩টি টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়।
টিকিটের কালোবাজারি নিয়ে স্টিং অপারেশনে নেমে বাঁকা নামে এক টিকিট ব্ল্যাকারের খোঁজ পায় টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। সেই বাঁকাই জানান, সাড়ে ৬০০ টাকার টিকিট তাঁর কাছ থেকে নিলে ১৫০০ টাকা দিতে হবে। এরপরই ওই যুবক দাবি করেন, তিনি ক্লাবের ছেলে। তাই তাঁর জন্য এই টিকিট ১৫০০ টাকা। বাঁকা টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিকে জানান, “আমার জন্য ১৫০০… মানে আমি ক্লাবের ছেলে বলে ১৫০০। আপনি আসলে ১৬০০, ১৭০০ হতে পারে। বাড়তে পারে তো কমবে না।”
ধর্মতলায় বাঁকার বাড়ি। সবসময়ই তাঁকে এই চত্বরে পাওয়া যাবে বলেই জানান তিনি। শনিবার সেখানে পৌঁছন টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধি। এরপর বাঁকা অন্য একজনের কাছে নিয়ে যান টিকিটের জন্য। সেই ব্যক্তি জানান, এত দাম হাঁকাতে তাঁরা বাধ্য হচ্ছেন। বহু হাতে টাকা গুঁজে তারপর একটা টিকিট বের করে আনতে হয় তাঁদের।
কোন পথে এল সাফল্য?
ময়দান থানার পুলিশ একদিকে যেমন সাদা পোশাকে নজরদারি চালাচ্ছিল। একই ভাবে গোপন বেশে নজরদারিতে নামে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগও। ময়দান থানার পুলিশের জালে ১২ জন গ্রেফতার হয়। অন্যদিকে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ৫জনকে ধরে।
চড়া কালোবাজারি চলছিল এই টিকিট নিয়ে। যেহেতু এতদিন পর ইডেনে বড় ম্যাচ তাই সমস্ত ক্রিকেটপ্রেমীই চেষ্টা করেছেন মাঠে গিয়ে খেলা দেখার। ক্রিকেট জ্বরে এই মুহূর্তে কাঁপছে বাংলা। আর সেই সুযোগকেই পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে দেদার টিকিট ব্ল্যাক করা চলছিল।
দু’ বছর আগে ভারত-বাংলাদেশ গোলাপি টেস্ট আয়োজিত হয়েছিল ইডেন গার্ডেন্সে। এরপর ২০২০-র মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনার জন্য তা সম্ভব হয়নি। বাতিল হয়ে যায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ। এতদিন পর আবার রবিবারের কলকাতায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কলকাতায়।
আরও পড়ুন: Weather Update: তাপমাত্রা বাড়লেও রয়েছে সুখবর, কবে থেকে ফিরছে ঠান্ডার আমেজ জানাল হাওয়া অফিস