Upper Primary: পুজোর আগেই চাকরি! ১০ বছরের পুরনো অভিজ্ঞতায় আজও আতঙ্কের ছাপ ওঁদের মুখে

Upper Primary: । আরাধনা চৌধুরী নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, "কেরিয়ার থেকে দশ বছর চলে গিয়েছে। দুবার এসেছিলাম, কাউন্সিলিং হল, কিন্তু... এবার মনে হচ্ছে চাকরি হয়ে যাবে। কারণ আদালত থেকেও নির্দেশ এসেছে।"

Upper Primary: পুজোর আগেই চাকরি! ১০ বছরের পুরনো অভিজ্ঞতায় আজও আতঙ্কের ছাপ ওঁদের মুখে
চাকরিপ্রার্থীরাImage Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 03, 2024 | 4:47 PM

কলকাতা:  প্রায় এক দশক পেরিয়ে গিয়েছে। এবার চাকরির হাতছানি। হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের কাউন্সেলিং শুরু হল এসএসসি অফিসে। এর আগে ২ বার ইন্টারভিউ হলেও চাকরি হয়নি। সেক্ষেত্রেও দায় বর্তেছিল এসএসসি-র ঘাড়েই। তাই আজও কাউন্সেলিংয়ে এসে আশঙ্কায় রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা, আর সে আতঙ্ক তাঁদের চোখেমুখে স্পষ্ট।

উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগে ১৪,৩৩৯টি শূন্যপদের তালিকা ওয়েবসাইটে আপলোড করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এই নিয়োগের সূত্র ধরতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে বেশ খানিকটা বছর পিছনে। ২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি বের হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যখন মেধাতালিকা বার করা হয়, তাতে ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম ছিল।  ২০২১ সালে কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়, OMR শিটগুলি পুনরায় মূল্যায়ন করে ১ হাজার ৪৬৩ জনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বাদ পড়া ১৪৬৩ জন অন্য একাধিক মামলায় যুক্ত হন।

দীর্ঘদিন ধরে এই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে ঝুলছিল। প্রায় আট বছর ধরে চলতে থাকে জটিলতা। উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ৩ বার,  ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর  সিঙ্গুরের সভা থেকে, ২০২১ সালের ২১ জুন নবান্নের সভাঘর থেকে, ২০২৩ সালে ৩০ মে নবান্নের সভাঘর চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। আট বছর পর গত অগস্ট মাসে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জটিলতা কাটে।

অবিলম্বে ১৪ হাজার ৫২ জনকে সুপারিশপত্র দিতে হবে বলে রায় দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।কমিশন ঘোষিত শূন্যপদ রয়েছে ১৪৩৩৯।  ১৪ হাজার ৫২টি পদে নিয়োগের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। মেধাতালিকা থেকে বাদ ১ হাজার ৪৬৩ জনকেও যুক্ত করে নতুন মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন।

দীর্ঘদিন ধরে দোলাচলে রয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা। এবার হবে তো? এবার হবে তো? এই প্রশ্ন নিয়েই কাউন্সেলিংয়ে এসেছেন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীরা। আরাধনা চৌধুরী নামে এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, “কেরিয়ার থেকে দশ বছর চলে গিয়েছে। দুবার এসেছিলাম, কাউন্সিলিং হল, কিন্তু… এবার মনে হচ্ছে চাকরি হয়ে যাবে। কারণ আদালত থেকেও নির্দেশ এসেছে।”

সুশান্ত ঘোষ এক আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী বললেন, “১৪৩৩৯ শূন্যপদে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর ভ্যাকেন্সি তালিকা প্রকাশ হয়। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে কাউন্সিলিং হয়। যাঁরা পেয়েছিলেন, তাঁরা স্কুলে গিয়ে দেখেন, সেটা এসসি সংরক্ষিত। বীরভূম জেলার ৬৮০ টি স্কুলের ঠিকানাই ভুল ছিল। এবার স্কুল সার্ভিস কমিশন সংশোধন করতে পারে। আমরা এবার এই জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে চাই।”