Primary Recruitment: প্রাথমিক টেটে এবার সুযোগ পাচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও

Primary Recruitment: এই নিয়োগে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫টি। প্রার্থীদের একাংশের দাবি, এসসি, এসটি, এক্সেম্পটেড ক্যাটাগরির সহ সংরক্ষণ বাদ দিলে শূন্যপদ পড়ে থাকছে মাত্র ৫ হাজার।

Primary Recruitment: প্রাথমিক টেটে এবার সুযোগ পাচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও
ছবি সৌজন্যে : টিভি৯বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2022 | 4:21 PM

কলকাতা : একদিকে প্রাথমিকের (Primary Recruitment) শূন্যপদ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।  অন্যদিকে, প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়ছে আরও। প্রাথমিকের প্যারা টিচারদের পাশাপাশি এবার উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচারদেরও টেট পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে। সোমবার একটি মামলার প্রেক্ষিতে এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। টেটে বসার সুযোগের আর্জি জানিয়ে একটি মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। সেই মামলায় বিচারপতি এই নির্দেশ দিয়েছেন। তবে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ, সোমবারই টেট পরীক্ষার আবেদনের শেষ দিন। তাই এই নির্দেশ কতটা কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট নয়। আগামী ১১  ডিসেম্বর টেট পরীক্ষা হওয়ার কথা। দীর্ঘ ৫ বছর পর হচ্ছে টেট। তাই এই পরীক্ষা ঘিরে অনেক চাকরি প্রার্থীর প্রত্যাশা রয়েছে।

পর্ষদ টেট নিয়ে প্রথম যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল, তাতে যোগ্যতার যা মাপকাঠি স্থির করা হয়েছিল, তাতে পরবর্তীতে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে প্রাথমিকে কর্মরত প্যারাটিচারদের জন্য। সোমবার আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে ওই ১০ শতাংশের মধ্যেই যুক্ত হচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও। স্বাভাবিকভাবেই, প্রতিযোগিতা আরও বাড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭-র টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা। এই পরীক্ষা সুযোগ পাচ্ছেন বিএড উত্তীর্ণরাও। প্রথমে বলা হয়েছিল বিএড-এ ৫০ শতাংশ থাকলে তবেই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাওয়া যাবে। তবে, সম্প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে বিএড পাশ করলেই টেট বসার সুযোগ পাওযা যাবে। এবার এই যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছেন উচ্চ প্রাথমিকের প্যারাটিচাররাও।

উল্লেখ্য, এই নিয়োগে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১১ হাজার ৭৬৫টি। প্রার্থীদের একাংশের দাবি, এসসি, এসটি, এক্সেম্পটেড ক্যাটাগরির সহ সংরক্ষণ বাদ দিলে শূন্যপদ পড়ে থাকছে মাত্র ৫ হাজার। সম্প্রতি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী দাবি করেন, ঘোষিত শূন্যপদের সংখ্যা আসলে মোট শূন্যপদের থেকে অনেক কম। তাঁর দাবি, শূন্যপদের সংখ্যা কম হওয়া সত্ত্বেও যোগ্যতার তালিকা লম্বা হওয়ায় প্রতিযোগিতা আরও বাড়ছে।