কলকাতা ও শান্তিনিকেতন : যেন যত রাগ সবই বন্দে ভারতে (Vande Bharat Express)। চলতি বছরের শুরু থেকে বাংলার (West Bengal) বুকে প্রথম পথচলা শুরু করে দেশের সবথেকে দ্রুতগতির ট্রেন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।কিন্তু, শুরু থেকেই আক্রমণের মুখে বন্দে ভারত। বারবার ভাঙছে জানলার কাচ। তবে সিংহভাগ হামলাই হয়েছে উত্তরবঙ্গে। সূত্রের খবর, শুক্রবার ফের হামলা হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। ছোড়া হয়েছে পাথর। আরপিএফ সূত্রে খবর, ডালখোলা ও তিতলার মাঝে এই হামলা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সূত্রের খবর এদিন, বিকাল ৫টা ৫৫ নাগাদ মালদা টাউনে ঢোকে ডাউন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কিন্তু, সেখানে ঢুকতেই আরপিএফের নজরে আসে ট্রেনের সি-৬ কামরার ৭০ ও ৭২ নম্বর সিটের কাছে একটি জানলার কাচে চিড় ধরেছে। এ দৃশ্য দেখে কী ঘটছে তা অনুমান করতে অসুবিধা হয়নি রেল পুলিশের। এ খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। ফের প্রশ্ন উঠছে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও। যদিও আর এক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা যাচ্ছে বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ হামলার কথা রেলকে জানিয়েছিলেন এক যাত্রী। এরপরই মালদায় ট্রেনটি ঢুকতে তা খতিয়ে দেখে রেল পুলিশ। এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে শান্তিনিকেতন স্টেশনে এক আরপিএফ কর্মী বলেন, “আমরা মালদা থেকে খবরটা প্রথম পাই। ডালখোলা আর তিতলার মাঝামাঝি জায়গায় হামলাটা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কাচে হালকা চিড় ধরেছে।”
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে বন্দে হাওড়া-জলপাইগুড়ির মধ্যে ছুটতে শুরু করেছিল বন্দে ভারত। যাত্রা শুরুর দ্বিতীয়দিনেই হামলার মুখে পড়ে এই বিলাবহুল ট্রেন। মালদার সামসির কুমারগঞ্জের কাছে ট্রেনে পাথর ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ভেঙে যায় দরজার একটি কাচ। তবে এই শেষ নয়। এরপর ফের বন্দে ভারতে হামলার ছবি দেখা যায়। হামলার মুখে পড়ে ট্রেনের সি৩ এবং সি৬ কামরা। জানলায় পাওয়া যায় পাথরের দাগ। এদিকে লাগাতার হামলা নিয়ে চাপানউতর বাড়তে থাকে রাজনৈতিক মহলেও। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে শুরু হয় চাপানউতর। পাথর ছোড়ার অপরাধে আটকও করা হয় কয়েকজনকে। যদিও কিছুদিন আগে রেল পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল সব হামলা বাংলায় হয়নি। হামলা হয়েছিল বিহারের কিষানগঞ্জ সংলগ্ন মাগুরজান এলাকায় হামলা হয়েছিল। এরইমধ্যে ডালখোলায় হামলার ঘটনায় নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতর। ইতিমধ্যেই পূর্ব রেলের তরফে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীকে খোঁজার চেষ্টা চলছে।