কলকাতা: দুর্যোগ মাথায় নিয়েই কোজাগরির (Laxmi Puja) আবাহনের প্রস্তুতি চলছে বাংলার ঘরে ঘরে। অগ্নিমূল্য সবজি বাজার। চোখ রাঙাচ্ছে ফলের দামও। পিছিয়ে নেই ফুলও। মধ্যবিত্ত বাঙালির পুজোর আয়োজনে কাটছাঁট করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
গত কয়েকদিন ধরে নাগাড়ে বৃষ্টি চলছে। তবু এরই মধ্যে লক্ষ্মীলাভের আশায় পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। যদিও মঙ্গলবার সকালে মানিকতলা বাজারে দেখা গিয়েছে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। দুর্মূল্যের বাজারে যতটুকু না কিনলেই নয়, তাতেই ব্যাগ ভরছেন আমবাঙালি। এক দোকানির কথায়, “এই বৃষ্টির জন্য জিনিসের দাম যে বেড়েছে তা তো অস্বীকার করতে পারব না। দাম শুনে কাস্টমার তো খেপে যাচ্ছেন। আমাদেরও তো কিছু করার নেই। এত দাম দিয়ে খরচ বলে জিনিস, আনি কিছু তো ঘরেও নিয়ে যেতে হয়।”
টমেটো, ফুলকপি, কুমড়ো, শসা, আপেল কোনও কিছুতেই হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সব কিছুতেই হাত ছোঁয়ালে ছ্যাঁকা! দোকানিরা বলছেন, বৃষ্টির ভয়ে এবার জিনিস কম তুলেছেন। তবে তাও বিক্রি হচ্ছে না। ছোট একপিস ফুলকপির দাম ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বেগুন এদিন কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। ঝিঙে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে আছে। শসার দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে রয়েছে। পটল ৬০ টাকা কিলোও রয়েছে, আবার ১০০ টাকা কিলোও রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা মেনে নিচ্ছেন দাম কিছুটা বেশিই। একদিকে অকাল বৃষ্টি। অন্যদিকে পেট্রোল ডিজেলের দাম হু হু করে বাড়ার কারণে, জিনিসপত্র পরিবহণের খরচও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। ফলে তাঁদেরও অতিরিক্ত টাকা খরচ করেই বাজার অবধি পসরা আনতে হচ্ছে।
পাল্টা ক্রেতারা বলছেন, ‘ খুব দাম বেড়েছে জিনিসে। টমেটো ছিল ৩০-৪০ টাকা ছিল। এখন ১০০ টাকা হয়ে গিয়েছে। পটল, আলু সবকিছুরই দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। খুব অসুবিধা হচ্ছে। আমরা বাঙালিরা তো লক্ষ্মীপুজো করবই। সে যত দামই নিক, জিনিস কিনতে তো হবেই।’ মানিকতলায় বাজার করতে এসেছিলেন, ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। জানালেন, ‘বাজার করতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কিছু করারও নেই।’
আরও পড়ুন: WB By-Election: প্রথমে ছিল ২৭, এক লাফে বেড়ে উপনির্বাচনের বাংলায় ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী