কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের পর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। তার মাঝেই এবার হাসপাতাল ঘেরাও করে চিকিৎসকদের ঘাড় ধরে একটি ঘরে তালাবন্দি করে রাখার ‘হুঁশিয়ারি’। বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা। বিজেপি বিধায়কের এমন মন্তব্য সামনে আসতেই সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। হাসপাতালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যঘাত ঘটলে পুলিশ, প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের পরামর্শমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে, দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর।
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের বরাত প্রাপ্ত ঠিকা সংস্থায় ২৮ জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত বাঁকুড়ার ওন্দা। এই নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূলের একাংশ বিজেপির সঙ্গে যোগসাজস করে স্বজনপোষণ করেছে এই অভিযোগ তুলে সকাল থেকে হাসপাতালের গেটে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূলেরই একটি অংশ। পাল্টা গোটা ঘটনার দায় তৃণমূলের কাঁধে দিয়ে স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে ওন্দা চৌরাস্তা মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হয় বিজেপি।
এই অবরোধে অংশ নিয়ে ওন্দার বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলের পাশাপাশি এই নিয়োগে পুলিশ ও প্রশাসনকেও কাঠগোড়ায় তোলেন। এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক একহাত নেন ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আগামী দু থেকে তিন দিনের মধ্যে স্বচ্ছ নিয়োগের ব্যবস্থা না হলে সেক্ষেত্রে হাসপাতাল ঘেরাও করে চিকিৎসকদের ঘাড়ে ধরে একটা ঘরে ঢুকিয়ে রেখে তালা দিয়ে রেখে দেওয়া হবে।”
বিধায়কের এমন হুঁশিয়ারির কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতারা বলছেন, বিধায়কের মনে রাখা উচিত ছিল উৎসবের এই মরসুমেও চিকিৎসকরা নিজেদের পরিবার ছেড়ে সাধারণ রোগীদের কথা ভেবে কর্তব্য পালন করে চলেছেন। বিধায়ক নিজে অসুস্থ হলেও ওই হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও শরণাপন্ন হতে হবে। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেভাবে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। তবে তাঁরা জানিয়েছে হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় বিডিও, পুলিশ আধিকারিকদের বিষয়টি জানানো হবে। তারপর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের পরামর্শমতো পদক্ষেপ করা হবে।