WBBSE Class 10 Result 2024: MCQ থাকা সত্ত্বেও মাধ্যমিকে ফেল দেড় লক্ষ, নেপথ্যে কি সেই নিয়োগ দুর্নীতি?

WBBSE Class 10 Result 2024: তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, ২০২৩ সালে মাধ্যমিকে ফেল করেছিল ১ লক্ষ ১১ হাজার জন। এই বার সেই সংখ্যাটা আরও বেশি। যেখানে সংক্ষিপ্ত ও অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের আধিক্য রয়েছে। তারপরও সেখানে এতজন পড়ুয়া কীভাবে ফেল করলেন উঠছে প্রশ্ন।

WBBSE Class 10 Result 2024: MCQ থাকা সত্ত্বেও মাধ্যমিকে ফেল দেড় লক্ষ, নেপথ্যে কি সেই নিয়োগ দুর্নীতি?
গতবারের তুলনায়ও মাধ্যমিকে ফেলের সংখ্যা বেশিImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2024 | 8:05 PM

কলকাতা: আগের থেকে পড়াশোনার ধরন এখন বদলেছে। প্রশ্নের ধরনও বদলেছে। সংক্ষিপ্ত-অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের সংখ্যা এখন বেশি। তুলনামূলক আগের থেকে অনেকটাই সহজ প্রশ্ন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এরপরও মাধ্যমিকে অনুত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী। পর্ষদ সূত্রে খবর, ২০২৪ ফেলের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৭ হাজারের বেশি।

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, ২০২৩ সালে মাধ্যমিকে ফেল করেছিল ১ লক্ষ ১১ হাজার জন। এই বার সেই সংখ্যাটা আরও বেশি। যেখানে সংক্ষিপ্ত ও অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের আধিক্য রয়েছে। তারপরও সেখানে এতজন পড়ুয়া কীভাবে ফেল করলেন উঠছে প্রশ্ন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, করোনাকালে প্রায় দু’বছর বন্ধ ঠিল পঠন-পাঠন। স্কুলে যায়নি পড়ুয়ারা। ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস হলেও তাতে সেই অর্থে পড়াশোনা আদৌ কী হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞরা নিয়োগ দুর্নীতির প্রভাবও উড়িয়ে দিচ্ছে না।

রাজ্য সাধারণ সম্পাদক, অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস(এএসএফএইচএম) চন্দন মাইতি বলেন, “এবছর মাধ্যমিক ১ লক্ষ ৫১ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী ফেল! এ যুগেও! যেখানে সিবিএসি কিংবা আইসি এসসিতে অকৃতকার্যের সংখ্যা নগণ্য থাকে।পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অকৃতকার্যের সংখ্যা! ভীষণ উদ্বেগজনক।” কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্তরে পাশ ফেল নেই। ফলে পড়ুয়াদের ফেলের ভয় থাকে না।  দীর্ঘদিন ধরে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলিতে শূন্য পদে নিয়োগ নেই। একাধিক জায়গায় দেখা যায় শিক্ষকের অভাবে ধুঁকছে স্কুল। স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ না হওয়ার ভুরি ভুরি অভিযোগ।

চন্দনবাবুর মনে হয়েছে, এখনও যোগ্য শিক্ষকের অভাব রয়েছে। তার উপর দিনের পর করোনার কারণে হোক বা ভোটের ইস্যু! বন্ধ রাখা হয়েছে পঠন-পাঠন। পড়াশোনার থেকেও বেশি সরকারি বিভিন্ন স্কিমে বৃত্তি, সাইকেল,ট্যাব, নিম্নমানের স্কুল ইউনিফর্ম,ইত্যাদি গুরুত্ব দিয়ে দেখা। পাশাপাশি দৈনন্দিন পঠন-পাঠনের উন্নতি এবং পরিচালনা বিষয়ক কোনও গুরুত্ব না দেওয়ার বিষয় রয়েছে। বলেই অনুমান করেছেন তিনি।