প্র দী প্ত কা ন্তি ঘো ষ
বৃহস্পতিবার টাউন হলে বসছে ডব্লিউবিসিএস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা। দীর্ঘ ছয় বছর পর এই বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজিত হচ্ছে। সকাল দশটা থেকে শুরু হবে সভা। ওই সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত চারটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হবে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে। প্রথমত, সংগঠনের নতুন কমিটি গঠন; দ্বিতীয়ত, বিগত ছয় বছরের অডিট, তৃতীয়ত, নতুন অডিটর নিয়োগ করা এবং চতুর্থত, সংগঠন আগামী দিনে কোন পথে চলবে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে ১২ মে-র বৈঠকে।
এর পাশাপাশি বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বদলেরও সম্ভাবনা রয়েছে। সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যাযের পরিবর্তে ওই পদে আসার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন শান্তনু মুখোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এই সভা থেকে ডব্লিউবিসিএস অফিসার সার্ভিসের জন্য বেশ কিছু ঘোষণা করতে পারেন বলেও সংগঠন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। তার মধ্যে থাকতে পারে অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি বা সহকারী সচিন এবং স্পেশাল সেক্রেটারি না বিশেষ সচিব পদে ডব্লিউবিসিএস অফিসারের জন্য সংরক্ষণের সংখ্যা বাড়ানো। সেই সঙ্গে সার্ভিসের বয়সসীমার ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তনের ঘোষণাও মমতার বক্তব্যে থাকতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের জন্য আরও কোনও সুযোগ সুবিধার দেওয়া যায় কি না, তা নিয়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য, ডব্লিউবিসিএস অ্যাসোসিয়েশনের শেষ বার্ষিক সাধারণ সভা হয়েছিল ২০১৬ সালে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। অতীতেও এই ধরনের বার্ষিক সভায় গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপধ্যায়। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যও অতীতে এমন বার্ষিক সভায় গিয়েছেন বলে জানাচ্ছেন অফিসারদের অনেকে। বর্তমানে ডব্লিউবিসিএস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৬০০-র আশেপাশে। বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় বা সিএমওতে আছেন। তিনি ২০১৬ সালে সৌরভ চাকীর উত্তরসূরি হিসেবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
এবার সাধারণ সম্পাদক পদে বদল হলে, নতুন দায়িত্ব পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন শান্তনু মুখোপাধ্যায়। তিনিও বর্তমানে সিএমও বা মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে কর্মরত। অফিসার মহলে যথেষ্ট দক্ষ অফিসার বলেই পরিচিত তিনি। জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন অতীতে। তবে রাজ্য প্রশাসনের ‘ মেরুদণ্ড ‘ বলে পরিচিত ডব্লিউবিসিএস অফিসারদের সংগঠনে বদলের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব পেতে চলেছে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের মতামত। অফিসারদের অনেকে বলছেন, ” অফিসারদের স্বার্থ রক্ষা করেই অতীতে কাজ করেছে অ্যাসোসিয়েশন। আশা রাখি এখনও সেভাবেই এগোবে সংগঠনের নেতৃত্ব।”