কলকাতা: গত কয়েকদিন ধরেই একটু একটু করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। কয়েক মাস পর দু’হাজার পেরিয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের কথা ঘোষণা করল স্বাস্থ্য ভবন। মঙ্গলবার কোভিড সংক্রান্ত নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। সাম্প্রতিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নির্দেশিকায়।
চতুর্থ ঢেউয়ে কোভিড সংক্রমণের থেকেও স্বাস্থ্য ভবনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে পোস্ট কোভিড সিনড্রোম বা করোনা পরবর্তী উপসর্গ। খোদ স্বাস্থ্য ভবনই সে কথা জানিয়ে জারি করেছে নির্দেশিকা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউয়ে কোভিডে গুরুতর আক্রান্ত হয়েছেন এমন অনেকেই এখন ফের অসুস্থতার শিকার। তাঁদের অসুস্থতা অন্য কোনও রোগের মাপকাঠিতেও ফেলা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে পোস্ট কোভিড সিনড্রোমের কথা মাথায় রেখে চিকিৎসা করার জন্য নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা পরবর্তী অসুস্থতা এবার অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রাথমিক লক্ষণ খুব গুরুতর নয়। তবে প্রায় ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত নানা রকমের অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে। শ্বাসকষ্ট তো থাকছেই, সঙ্গে হৃদরোগের সমস্যাও দেখা দিচ্ছে কারও কারও ক্ষেত্রে।
মঙ্গলবার রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৫৯। সংক্রমণের নিরিখে সবার ওপরে রয়েছে কলকাতা। শুধুমাত্র কলকাতাতেই এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৩। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে। উত্তর ২৪ পরগনাতেও সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী। তবে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে নতুন করে কোনও কোভিড বিধি জারি করা হয়নি।
তবে আলাদা করে কোনও কোভিড বিধি জারি করার কথা বলা হয়নি নির্দেশিকায়। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, স্কুল বন্ধ করার কোনও নির্দেশিকাও আসেনি স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। তবে বিশেষজ্ঞদের থেকে রিপোর্ট নিয়ে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে করোনা পরবর্তী ক্ষেত্রে কী করতে হবে আর কোনটা নয়।