কলকাতা : আগামী পাঁচ দিন দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আবহাওয়া মোটের উপর শুষ্কই থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Office) থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। তবে সোমবার ও মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে রাজ্যের তাপমাত্রার ক্ষেত্রেও খুব একটা পরিবর্তন নেই। এখন যেমন রাজ্যে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে তিন -চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি রয়েছে, সেইরকমই থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। তবে উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র দুই পার্বত্য জেলা দার্জিলিং ও কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে উত্তরের বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছিল, সেটি এখন গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উত্তর আন্দামান সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সোমবার সন্ধ্যার পরে এই গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর দিকে এগিয়ে গিয়ে মায়ানমার উপকূলের দিকে পৌঁছাবে। এরপর ২৩ মার্চ সকালে এটি মায়ানমার পৌঁছাবে। তবে মরশুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের জেরে কোনওরকম প্রভাব আমাদের পশ্চিমবঙ্গে পড়বে না। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে উত্তর আন্দামানের কিছু কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টি এবং কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।
চৈত্রের চাঁদি ফাটা রোদ্দুর থেকে একটি নিস্তার পাওয়ার আশায় ছিল বঙ্গবাসী। অনেকেই ভেবেছিলেন, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে বাংলা। কিন্তু আপাতত, এই চাঁদি ফাটা রোদ্দুর আর চৈত্রের ভ্যাপসা গরম থেকে নিস্তার নেই বঙ্গবাসীর। ঘূর্ণিঝড় অশনির কোনও প্রভাব বাংলার উপর পড়বে না বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। তবে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনের তরফে সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। কর্ণাটক, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু, কেরলের উপকূলীয় এলাকাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে এর কোনও প্রভাব বাংলার উপর পড়ছে না। ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের অনেকটা দূর থেকেই বাংলাদেশ ও মায়ানমার উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari: শুভেন্দু সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য পুলিশের, মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করল বিজেপি