কলকাতা: আরও কিছুটা নামল তাপমাত্রার পারদ। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.২ ডিগ্রি। আগামী ২-৩ দিন থাকবে একই তাপমাত্রা। ২-৩ দিন পর ফের বাড়তে পারে তাপমাত্রা। জোড়া নিম্নচাপে ঠান্ডা আমেজে কাঁটা। ৩ ডিসেম্বরের পর দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
সপ্তাহান্তে যে জোড়া নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে, তা নিয়ে বেশ কিছু সতর্কবার্তা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ২৯ নভেম্বর একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে আন্দামান সাগরে। উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। সরাসরি তামিলনাড়ু উপকূলে হয়তো যাবে না। সেক্ষেত্রে অন্ধ্র কোস্ট ও মায়ানমার কোস্টের মাঝামাঝি জায়গায় নিম্নচাপ সরে আসবে। দফায় দফায় শক্তি বাড়াবে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।
তবে ওই নিম্নচাপটি যদি বঙ্গের দিকে আসে সেদিক থেকে বঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, শীত আসতেও দেরি হবে। কারণ, এ রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয় বাষ্প ঢুকতে পারে। ফলে বাধা পাবে, শীতের উত্তুরে হাওয়া। ফলে অগ্রহায়ণেও কাঁটা বৃষ্টি। পাকাপাকিভাবে কবে থেকে শীত পড়বে তা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারেনি আলিপুর হাওয়া অফিস।
আবহাওয়া দফতর অবশ্য জানিয়েছে, উচ্চচাপের গেরো কেটে গিয়েছে। মেঘ সরে আকাশ পরিষ্কার হয়েছে। ফলে ফিরেছে হেমন্তের ঠান্ডা আমেজ। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। সকাল থেকে হালকা কুয়াশার চাদরে মোড়া শহর কলকাতাও।
শীতের পথে কাঁটা
♦ তামিলনাড়ুর নিম্নচাপে বাধা ঠান্ডা আমেজে
♦ পরে বঙ্গোপসাগের উচ্চচাপ বলয়ের বাধা
♦ জলীয় বাষ্পের দাপটে কোণঠাসা শুকনো বাতাস
♦ উত্তরে পশ্চিমী বাতাস এখনও তেমন জোরদার নয়
♦ বঙ্গোপসাগরে ফের শক্তিশালী নিম্নচাপের আশঙ্কা
যদি সেরকম হয়, তাহলে বাংলায় তার সরাসরি প্রভাব পড়বে না। তবে ঠান্ডার পথে বাধা হবে। ঘূর্ণিঝড় হলে মত্স্যজীবীরে জন্যও সতর্কবার্তা জারি হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টা থাকবে শুষ্ক আবহাওয়া। পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জলীয় বাষ্পের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল উত্তুরে-পশ্চিমী বাতাস। মেঘের দখলে আকাশ। এখন কিছুটা হলেও সেই বাধা কেটেছে।
সপ্তাহান্তে ফের একবার পূবালি হাওয়ার প্রভাবে রাজ্যে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া ঢোকায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পূবালি বাতাস। তার দাপটে বঙ্গোপসাগর থেকে রাজ্যে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছিল। এর প্রভাবে গত কয়েকদিনে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। কিন্তু সেই বাধা কাটায় এখন আকাশ পরিষ্কার। ফলে নিম্নমুখী পারদ। শিরশিরে ভাব অনুভূত হচ্ছে। তবে এখনও জাঁকিয়ে ঠান্ডার জন্য বেশ কয়েকটা দিন অপেক্ষাই করতে হবে।