কলকাতা: পরিস্থিতি প্রতিকূল, তাই ল্যান্ডফল হচ্ছে না। জাওয়াদের (cyclone Jawad) শক্তি সমুদ্রেই ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার পর্যন্ত দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবারই শক্তি হারিয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল জাওয়াদ (cyclone Jawad)। রবিবার রাতের মধ্যেই পরিণত হবে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে। ওড়িশা উপকূল ধরে নিম্নচাপ যত বাংলার দিকে এগিয়ে আসবে, তত বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টি চলবে সোমবার পর্যন্ত। বাংলাদেশ লাগোয়া তিন জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি এখনই পিছু ছাড়ছে না। মেঘ কাটলে তবেই ফিরতে পারে ঠান্ডা। তবে ১১ ডিসেম্বরের আগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকে পৌঁছনোর সুযোগ কম বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
রবিবার সারাদিনই সমুদ্র উত্তাল থাকবে। এদিন সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর দুই ২৪ পরগনার উপকূলে ৫০ থেকে ৫৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। উপকূল সংলগ্ন স্থলভাগের ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার হতে পারে।
বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সেচ, বিদ্যুৎ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন। কন্ট্রোলরুম সংক্রান্ত খোঁজখবর নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। মূলত পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ওপরে বিশেষ নজর রয়েছে নবান্নের।
আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.১ ডিগ্রি থাকবে। গতকাল এ রাজ্যে বৃষ্টি হয়েছে ৫.৩ মিলিমিটার। নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আজ দিনভর বৃষ্টি হবে। পাশাপাশি, আজ রবিবার উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, মেঘালয় ও ত্রিপুরাতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস। আগামিকাল উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টি বাড়বে। অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর, অরুণাচল প্রদেশ ও ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
এ দিকে, উত্তর পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা প্রবেশ করছে। এর প্রভাবে আজ ও আগামিকাল পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চন্ডীগড়, দিল্লিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে পারে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখান্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ ও মুজাফফরাবাদে।