কলকাতা: আকাশে মেঘ নেই। নরম রোদ ছড়িয়েছে শহর জুড়ে। রয়েছে শীতের আমেজও। তবে রাজ্যে এখনও পুরোপুরি প্রবেশ করেনি শীত। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, জাঁকিয়ে শীত (Winter) আসতে এখনও ডিসেম্বর। তবে সপ্তাহের শেষ থেকে বাড়বে তাপমাত্রা। সম্ভাবনা রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতেরও।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী চার থেকে পাঁচদিন বঙ্গ জুড়ে অনুভূত হবে শীতের আমেজ। তবে রবিবারের পর থেকে ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। আগামী দুই থেকে তিনদিন আকাশ পরিষ্কার থাকলেও সোমবার থেকেই ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে এক’দিন শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। রবিবারের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।
হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে হালকা বৃষ্টি হবে। পাহাড়ে দার্জিলিঙ, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে হালকা বৃষ্টি হবে।
আজ, শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রধানত পরিষ্কার আকাশ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকবে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
বৃষ্টি থেমেছে। মেঘ কেটেছে। শুকনো হাওয়ায় আবার নেমেছে তাপমাত্রা। তবে আপাতত আর তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই। বরং সপ্তাহের শেষে বাড়তে পারে তাপমাত্রা।
কেন? কারণ, এক নিম্নচাপের প্রভাব কাটতে না-কাটতেই কাঁটা আরও এক নিম্নচাপ। ঠান্ডায় বাধা দেবে নতুন পশ্চিমী ঝঞ্ঝাও। রবিবার, সোমবার নাগাদ ফের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিরও সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। নিম্নচাপের সম্ভাব্য অভিমুখ তামিলনাড়ু-অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। তবে দূরে থাকলেও আরও একবার ঠান্ডা আমেজের বারোটা বাজাবে সাগরের নিম্নচাপ। বৃষ্টি চিন্তায় রাখবে বাংলার চাষিদেরও।
তাপমাত্রা শুক্রবার পর্যন্ত নিম্নমুখী থাকবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহের শেষে আরব সাগরে এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরের ওপরে নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থান করবে। তার জেরে আবার বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকতে পারে রাজ্যে। তার ফলে বাধা পাবে শীত। জাঁকিয়ে শীত পড়তে আমাদের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জ্বলীয়বাষ্পের জেরেই দক্ষিণের জেলাগুলিতে গত দুদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ছিল। বাদ ছিল না মহানগরও। রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া ঢোকায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পূবালি বাতাস। তার দাপটে বঙ্গোপসাগর থেকে রাজ্যে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছিল। এর প্রভাবে গত কয়েকদিনে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েছে কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। এখন সেই বাধা কিছুটা কেটেছে।