কলকাতা: জাঁকিয়ে বঙ্গে শীত (winter)। রোজই পারদ নিম্নমুখী। রবিবার রাতেও একাধাক্কায় তিন ডিগ্রি নামল পারদ। কতদিন বঙ্গে থাকবে শীতের মেজাজ? আবার বৃষ্টির বিপদ নেই তো? হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত শীত থাকলেও বেশিদিনের সঙ্গী হবে না। ৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই বদলাবে হাওয়া।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত চলতি সপ্তাহে স্থায়ী হবে শীত। তবে সপ্তাহান্তে ৪ ফ্রেবুয়ারি থেকে বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী ৪ ও ৫ তারিখ সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি ও জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ও তামিলনাড়ুতে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় গাঙ্গেয় বঙ্গে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে। তার জেরেই আগামী ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি ফের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিকে ৫ তারিখই সরস্বতী পুজো। তাই ছাতা ছাড়া পুজোর ঘোরাফেরা মাটি হতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।
আপাতত বঙ্গ থেকে বিদায় নিয়েছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। দেখা মিলেছে রোদেলা শীতের। বইছে উত্তুরে হাওয়াও। কলকাতার আকাশে ভোরের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলায় তা কেটে যাচ্ছে। কিন্তু, শীতের এই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
এদিকে, পূর্বাভাস সত্যি করে বঙ্গে থিতু শীত। একধাক্কায় পারদ নেমেছে তিন ডিগ্রি। শনিবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শনিবার, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেটা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। রবিবারও অব্যাহত ছিল পারদ পতন।
সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। অন্যদিকে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শুধু কলকাতা নয়, জেলাগুলিতেই তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি কমতে পারে।
বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোপে পিছু হটেছে শীত। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু। যার প্রভাব পড়বে চাষে। ফলস্বরূপ বাজারেও পড়বে টান। এতগুলি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অসময়ে বঙ্গে আগমন ও গমন কোনওভাবেই এ রাজ্যের জন্য ভাল নয় বলেই জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। আশঙ্কা, আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনার জন্য বিপদের বঙ্গের জলবায়ু। নতুন বছরে লেগেই থাকতে পারে, অতিবৃষ্টি, খরা, বন্যা। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের ‘হ্যাজার্ড অ্যাটলাস’ সে সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, গোটা রাজ্যেই অতিবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। দুই পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে জলোচ্ছ্বাস ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। খরার বিপদ দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়।
আরও পড়ুন: Seikh Sufiyan on Suvendu Adhikari: ‘ওঁ দেশি ছেলে, দেশি নুন ব্যবহার করেন, আমরা টাটা নুন দেব’