কলকাতা: বারবারই বঙ্গ বিজেপির তরফে দাবি করা হয় বাংলার আইনশৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে। ৩৫৬ ধারা জারি করার দাবি তোলে পদ্মশিবির। পাল্টা তৃণমূলও সরব হয়, বিজেপির এই দাবি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থের কৌশল বলে। বৃহস্পতিবার বালিগঞ্জে উপনির্বাচনের প্রচার থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত এই দাবিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে ছুঁড়ে দিলেন বিরোধীদের দিকে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘৩৫৬ ধারা জারি করে দেখুন। ২৫০ আসন পাব।’ বুধবারই সংসদে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেন, ফ্যাসিস্ট শব্দের নতুন সংজ্ঞা তৈরি হয়েছে বাংলায়। পশ্চিমবঙ্গে গেলে খুন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সেখানে না যাওয়াই ভাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য বাংলার আইনশৃঙ্খলাকে নতুন করে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দেয়। শুরু হয় জোর চর্চা।
বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রত্যাশা ছিল, সাংবাদিক সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে তিনি হয়ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেবেন। যদিও এ প্রসঙ্গ ওঠেইনি এদিন। তবে নাম না করলেও ঘুরিয়ে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সুর চড়ান।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই খেলার শেষ দেখে ছাড়ব। আমরা কংগ্রেস বা সিপিএম নই। এটা তৃণমূল।” এর আগে ৩৫৬ ধারা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বঙ্গ বিজেপি যখন বারবার বাংলায় এই ধারা প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে, পাল্টা কটাক্ষ শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। বিজেপি শাসিত অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ রাজ্যে যথেষ্ট শান্তির শৃঙ্খলা রয়েছে। বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের কথা বলছে। কিন্তু এবার প্রসঙ্গটি একেবারেই আলাদা। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৩৫৬ ধারা নিয়ে কোনও কথাই বলেননি বুধবার। তবে এ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের, সে ইঙ্গিত ফুটে উঠেছে অমিত শাহের বক্তব্যে।
আরও পড়ুন: Raiganj Coronation High School: রায়গঞ্জ করোনেশন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করল হাইকোর্ট