নয়া দিল্লি: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির (ED) ডাকে দিল্লিতে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। এই নিয়ে পর পর তিনদিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। কী কী প্রশ্ন ছিল তদন্তকারীদের তালিকায়, কী কী জবাব পেলেন তা নিয়ে জোর চর্চা।
গত ২৭ অক্টোবর প্রথমবার ইডির থেকে ডাক পান সুকন্যা মণ্ডল। সেদিন হাজিরা এড়িয়ে যান। সেই রাতেই ইডি জানিয়ে দেয় ২ নভেম্বর দিল্লিতে হাজিরা দিতে হবে কেষ্ট-কন্যাকে। সুকন্যা মণ্ডলের সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অর্থের পরিমাণ মূলত ইডির স্ক্যানারে। সূত্রের খবর, ইডি জানতে চায় এই টাকা কোথা থেকে এল? সে কারণেই তিনদিন ডাকা হয় তাঁকে।
কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও ডাকা হয় দিল্লিতে। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার মণীশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। এরইমধ্যে ‘এন্ট্রি’ হয় আরও একজনের। নাম টুলু মণ্ডল। শোনা যায় তিনি নাকি বীরভূমের অন্যতম পাথর ব্যবসায়ী। সিউড়ির পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডল সায়গল হোসেনের ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ ওঠে। যে সায়গল এক সময় ছায়াসঙ্গী ছিলেন অনুব্রতর। অর্থাৎ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কেন্দ্রবিন্দুতে বারবার উঠে আসছে অনুব্রত মণ্ডলেরই নাম।
এ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বক্তব্য, “ওদের কী কৌশল, কী কায়দা তা আমার জানা নেই। তবে যদি মনে হয় তদন্তে কাউকে জিজ্ঞাসা করতে হবে, সেটা করতেই পারে। তবে তা কলকাতাতেও করা যায়।” অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “হেনস্থা করছে কারণ বীরভূমকে ওরা কিছুতেই ভাঙতে পারছে না।”