কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল জল্পনার মাঝেই উপাচার্য নিয়োগের বিল পেশ নিয়ে নয়া জল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি ছাড়াই পাঁচ সদস্যের সার্চ কমিটিতে আপত্তি রয়েছে বিজেপির। আচার্য সিভি আনন্দ বোস সই করলে কোন পথে পদ্ম শিবির, তার দিকে তাকিয়ে বাংলা। আগেই উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন রাজ্যপাল। গত বুধবার সেই অধ্যাদেশ বিধানসভায় পেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিধানসভা তা বিল আকারে আসার কথা। ওই কমিটিতে থাকার কথা আচার্য, মুখ্যমন্ত্রী, উচ্চ শিক্ষা কাউন্সিল, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর ও ইউজিসি-র প্রতিনিধিদের।
বিধানসভায় আপাতত এই বিল নিয়ে আলোচনা চলছে। বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, কী কারণে এই বিল এত তাড়াহুড়ো করে নিয়ে আসা হল। এই অধ্যাদেশ বিলে পরিণত হলে, সেক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার আচার্য নয়, মুখ্যমন্ত্রীর প্রভাব বাড়বে। রাজ্য সরকারের প্রভাব বাড়ানোর বিষয়টি বিরোধীদের তরফ থেকে উত্থাপন করা হয়।
পাল্টা জবাবি ভাষণ দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপাল নিজেই তো অধ্যাদেশে সম্মতি দিয়েছিলেন। হঠাৎ কেন অসম্মত হচ্ছেন বিরোধীরা। সূত্রে খবর, এই বিলের ওপর ভোটাভুটি চাইবে বিজেপি। তবে বিজেপি বিধায়কদের কাছে এটাও স্পষ্ট, সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে অনায়াসে এই বিলটি বিধানসভায় পাশ করিয়ে নেবে শাসকদল। কিন্তু বিলটিকে আইনে পরিণত গেলে রাজ্যপালের সম্মতি লাগবে, তাঁর স্বাক্ষর লাগবে। সেই বিষয়টিতে যাতে রাজ্যপাল সম্মত না হন, সে কারণে বিজেপরি পরিষদীয় দলনেতা মনোজ টিগ্গার তরফ থেকে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হবেন। যাতে রাজ্যপাল এই বিলে সম্মতি না দেন, তার জন্য বলবেন তাঁরা। আপাতত এই বিষয়টির দিকেই তাকিয়ে বাংলা।