West Bengal Assembly: স্পিকারকে ঘিরে নিরাপত্তারক্ষীরা, কার্যবিবরণী ছিঁড়ে ফেলেন বিজেপি বিধায়করা, রবীন্দ্রনগর ইস্যুতে চরম উত্তাল বিধানসভা
West Bengal Assembly: উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শুরুতেই মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব চেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। তারওপর আবার বুধবার রবীন্দ্রনগরের ঘটনা। তাতেও আলোচনা চান বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়।

কলকাতা: রবীন্দ্রনগরে অশান্তির আঁচ বিধানসভাতেও। বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। পরে বাইরে এসে ‘জয় শ্রী রাম পোস্টার’ হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। দিতে থাকেন জয় শ্রী রাম স্লোগানও। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে গিয়ে দাঁড়ান অরূপ বিশ্বাস। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে ফেলেন স্পিকারের বসার জায়গা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শুরুতেই মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব চেয়েছিলেন বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তা খারিজ করে দেন। তারওপর আবার বুধবার রবীন্দ্রনগরের ঘটনা। তাতেও আলোচনা চান বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। এরপর আসন ছেড়ে উঠে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার কার্যসূচি ছিঁড়ে উড়িয়ে দেন বিজেপি বিধায়করা। দীর্ঘ ৫০ মিনিট চলতে থাকে এই পরিস্থিতি। তুলসি মঞ্চের পোস্টার দেখিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তারই মধ্যে বিধানসভার অধিবেশন চালিয়ে যান অধ্যক্ষ। সে সময়েই বক্তব্য রাখতে থাকেন তৃণমূল চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, অপূর্ব সরকাররা। বিজেপি বিধায়কদের উদ্দেশে স্পিকার বলতে থাকেন, ‘এভাবে বিধানসভা অচল করে দেওয়া যাবে না।’
এরপর বিধানসভার মূল ফটকের বাইরে বিক্ষোভ অবস্থানে রয়েছেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার বাইরে তুলসি মঞ্চ মাথায় নিয়ে মিছিল হাঁটেন। বিধানসভা থেকে রাজভবনের দিকে যাবেন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু আগেই দাবি করেছিলেন, রবীন্দ্রনগরের আইসি মুকুল মিঞাকে সরিয়ে গ্রেফতার করা হোক। রাজ্যপাল যাতে এই বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানান, তারও দাবি তুলেছিলেন। সেই দাবি জানিয়েই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চান বিজেপি বিধায়করা।

