Birbhum Teacher: বোলপুরে প্রাথমিক শিক্ষিকার বদলি, বন্ধ বেতন, আদালতে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ
Birbhum: ২০১৪ সালের ঘটনা। সে বছর ২১ জানুয়ারি নানুরের সাওতা কিরণশশী প্রাথমিক স্কুলে সহকারি শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন ঋতুপর্ণা ঘোষ।
কলকাতা: আচমকাই স্কুলে বদলি, তারপর বন্ধ করে দেওয়া হয় শিক্ষিকার বেতনও। বোলপুরের এক কাউন্সিলরের কারণেই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বোলপুরের এক শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলার শুনানি ছিল। ওই শিক্ষিকার দাবি, তিনি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তিনি অসুস্থ। তাঁরপরও এই বদলি। বিচারপতির নির্দেশ, ওই শিক্ষিকার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করাতে হবে। একইসঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, এই পরীক্ষা বীরভূমের কোনও হাসপাতালে নয়, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করাতে হবে। আগামী ডিসেম্বরে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
২০১৪ সালের ঘটনা। সে বছর ২১ জানুয়ারি নানুরের সাওতা কিরণশশী প্রাথমিক স্কুলে সহকারি শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন ঋতুপর্ণা ঘোষ। আদালতকে ওই শিক্ষিকা জানান, ২০১৫ সালে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। এরপরই ২০১৭ সালে বাড়ির কাছে বদলির জন্য আবেদন করেন। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে তাঁর আবেদন মঞ্জুর হয়। সে বছরই বোলপুরের রবীন্দ্র শিক্ষানিকেতন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে যান তিনি।
২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে ওই বিদ্যালয়েই টিচার-ইনচার্জ হিসাবে দায়িত্ব পান। কিন্তু ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তাঁকে বোলপুরের যাদবপুর নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে অস্থায়ী প্রাথমিক শিক্ষিকা হিসাবে বদলির নোটিস দেওয়া হয় বলে দাবি ওই শিক্ষিকার। মামলাকারীর দাবি, এই বিদ্যালয়টি তাঁর বাড়ি থেকে অনেক দূরে। এরপরই ১৯ এপ্রিল থেকে তাঁর বেতনও বন্ধ করা হয় বলে অভিযোগ।
এরপরই এই বেতন বন্ধের ঘটনায় বোলপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই প্রাথমিক শিক্ষিকা। অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়াতেই বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। কী অনৈতিক কাজ? ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়াতেই বদলি করা হয় তাঁকে। স্কুলে অনুষ্ঠানের পর স্কুলচত্বর নোংরা করার অভিযোগ ছিল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। শিক্ষিকার অভিযোগ, এতে স্কুলের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এরপর একটি অনুষ্ঠানে তিনি অনুমতি না দেওয়ায় তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বীরভূমের হাসপাতালে নয়, শিক্ষিকার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করতে হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।”