কলকাতা: প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ময়নাতদন্ত হল কাশীপুরের বিজেপি যুবনেতার। শনিবারই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃতদেহ। এদিন কমান্ড হাসপাতাল চত্বরে হাজির ছিলেন বিজেপির প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, কল্যাণ চৌবেরা। প্রিয়াঙ্কা জানান, তাঁদের দাবি মেনে কমান্ড হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হওয়ায় তাঁরা সন্তুষ্ট। এদিন কল্যাণী এইমসের চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের নজরদারিতে ভিডিয়োগ্রাফি করা হয় গোটা পর্বের। এরপর ফের আরজি কর হাসপাতালে ফেরানো হয় অর্জুনের দেহ। বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল জানান, আরজি কর থেকে অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহ নিয়ে যাওয়া হবে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে। সেখান থেকে শেষবারের জন্য বাড়ির চৌকাঠে যাবে অর্জুনের নিথর দেহ। এরপর নিমতলা মহাশ্মশান।
যে পরিত্যক্ত রেল কোয়ার্টার থেকে অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয় শনিবার সেখানে তদন্তে যান লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। দীর্ঘক্ষণ সেখানে নমুনা সংগ্রহ চলে। একটি ট্রাইপডে থ্রিডি স্ক্যানার বসিয়ে চলে নজরদারি। কোয়ার্টারের বাইরের ছবির পাশাপাশি ভিতরে যেখানে দেহটি উদ্ধার হয় সেখানকার ছবিও তোলা হয়। একইসঙ্গে কোয়ার্টারের অন্যান্য ঘরের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা, এক ঘর থেকে অন্য ঘরের দূরত্ব সমস্তটাই নোট নিয়েছেন তদন্তকারীরা।
প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল এদিন বলেন, “যেভাবে ময়নাতদন্ত হয়েছে তার দাবি ছিল আমাদের। আমরা অন্তত খুশি কমান্ড হাসপাতালে দেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গে নিরপেক্ষ তদন্ত হয় না। হতে পারে না। আমরা তাই রাজ্যের কোনও হাসপাতালে তদন্ত চাইনি। পরিবারও তা চায়নি।” একইসঙ্গে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলার সঙ্গে এটা জড়িয়ে। এটা সিবিআই ছাড়া তদন্ত হতে পারে না বলেই দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে এদিন পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রিয়াঙ্কা। বলেন, “এখন যে সক্রিয়তা তারা দেখাচ্ছে, যদি রাতে অর্জুনের পরিবার যখন থানায় গিয়ে ছেলের নিখোঁজের কথা বলেছিল তখন সক্রিয়তা দেখাত ভাল হত।”
অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “কমান্ড হাসপাতাল তো কেন্দ্র সরকারের অধীনে। সে কী করে আসল কথা বলবে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে লিখবে কী করে? এরপর তো চাকরিই থাকবে না। কোর্টকে বলব, দয়া করে চোখটা খুলুক। এই অন্যায়টা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন খুন, সেখানে কোনও অফিসার আছেন যিনি বলবেন এটা আত্মহত্যা বা অন্য কিছু? অফিসারদের চাপ দেওয়ার জন্য এসব আগেভাগে বলা হল।”