West Bengal Assembly: বিধায়কদের সাসপেনশন নিয়ে এবার আদালতের পথে বিজেপি, শুরু প্রস্তুতি
BJP MLA: সূত্রের খবর, ঠিক যেভাবে মহারাষ্ট্রের ১২ জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দল, এবারও সেই পথেই এগোবে বঙ্গ পদ্মশিবির।
কলকাতা: বিধায়কদের সাসপেনশন নিয়ে এবার আইনি পথে হাঁটতে চলেছে বিজেপি (BJP)। সূত্রের খবর, আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরিষদীয় দল সূত্রে জানা গিয়েছে, আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আইনি পদক্ষেপের জন্য নথিপত্র তৈরির কাজও চলছে বলেই সূত্রের দাবি। সোমবার স্পিড পোস্টের মাধ্যমে এবং তিনদিন আগে ইমেল মারফৎ বিধানসভার তরফে সাসপেন্ড হওয়া সাত বিধায়ককে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে সাত বিধায়ককে সাসপেন্ড করার কারণগুলি উল্লেখ করা হয়। সেই চিঠিকে সামনে রেখেই এবার আদালতে যাচ্ছেন শুভেন্দুরা। সূত্রের খবর, ঠিক যেভাবে মহারাষ্ট্রের ১২ জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল দল, এবারও সেই পথেই এগোবে বঙ্গ পদ্মশিবির।
সাত বিধায়ক সাসপেন্ড কেন?
গত ২৮ মার্চ বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। সেদিন তুমুল গন্ডগোল শুরু হয় বিধানসভায়। বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি, চুলোচুলি, জামা ধরে টানাটানির মতো ঘটনা ঘটে রাজ্যের আইনসভায়। এমনকী রক্তপাতও হয় এই ঘটনা ঘিরে। এরপরই বিধানসভা থেকে পাঁচজন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। অন্যদিকে ৭ মার্চ অধিবেশন শুরুর দিন রাজ্যপালের ভাষণের সময় গোলমালের জেরে দুই বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়।
কারা কারা সাসপেনশনে রয়েছেন
২৮ মার্চের ঘটনায় সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কদের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গার মতো বিধায়কও ছিলেন। একজন বিজেপি পরিষদীয় দলের দলনেতা, অপরজন সচেতক। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দলনেতা কিংবা সচেতককে বাদ দিয়ে বিজেপির পরিষদীয় দলের পক্ষে বিধানসভার কাজ চালিয়ে নিয়ে যাওয়া কিছুটা অসম্ভব। সেই জায়গা থেকেই শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ, নরহরি মাহাতো, মিহির গোস্বামী, সুদীপ মুখোপাধ্যায়, দীপক বর্মনদের সাসপেনশন নিয়ে এবার আদালতে যেতে চলেছে বিজেপি।
কী হয়েছিল মহারাষ্ট্রে
গত বছর জুলাইয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১২ জন বিজেপি বিধায়কের উপর অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেনশন অর্ডার জারি হয়েছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্টে যায় বিজেপি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিধানসভার নির্দেশকে খারিজ করে দেয়। যা অস্বস্তি বাড়িয়েছিল মহারাষ্ট্রের শিবসেনা সরকারের।