কলকাতা : পঞ্জাবে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত (PM Narendra Modi Security Breach) হওয়ার ঘটনায় তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। পঞ্জাবের শাসক শিবির কংগ্রেসকে কার্যত তুলোধনা করছি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আক্রমণ শানাতে ছাড়ছে না পদ্মের বঙ্গ ব্রিগেডও। বুধবার বঙ্গ বিজেপির (West Bengal BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya) কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “অহিংস দল মোদীকে খুনের পরিকল্পিত আক্রমণের অংশীদার। পাকিস্তানি সীমান্ত থেকে কম দূরত্বে আটকে দেওয়ার পরিকল্পিত চক্রান্ত করেছে পঞ্জাব সরকার।” শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, “পঞ্জাব সরকারের হাতে তথ্য ছিল। প্রথম উদ্দেশ্য ছিল, যাতে বিজেপির কেউ জমায়েত না করতে পারে। বলা হল, জুতো দেখালে টাকা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয় এসপিজি দেখে নিয়ে যায়। কিন্তু রুট দেখে রাজ্য। এসপিজির কাছে তথ্য থাকলে অসুবিধা হতে পারে। তাহলে কোনও অবস্থায় এসপিজি নিয়ে যেত না ওই রুটে। সরকারও খালি করার ব্যবস্থা নিল না। এমনকী প্রধানমন্ত্রী পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পরেও প্রধানমন্ত্রীকে খারাপ ভাষায় আক্রমন করা হয়েছে।”
তাঁর আরও অভিযোগ, “পাকিস্তান সীমা থেকে ১২ কিমি দূরে ২০ মিনিট আটকে রাখা হল। দেশে অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত করেছে কংগ্রেস। চক্রান্ত দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অস্থিরতা তৈরি করেছে। যাদের কাছে খবর ছিল, তারা জানায়নি।” এদিকে তৃণমূলের তরফে যে দাবি করা হচ্ছে সেই নিয়েও রাজ্যের শাসক দলকে কড়া বার্তা দেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “তৃণমূল নেতা বলেছেন ট্রাফিক জ্যাম ছাড়া কিছু নয়। আর সিপিএম, যারা তৃণমূলের সাহায্যে উঁকি মারছে, এখানে এলে তারাও বিক্ষোভ দেখাবে। মৌলালির এক দোকান থেকে সন্ত্রাসবাদীরা সিম কিনেছিল। রাজ্যের নাম সব জায়গায় যুক্ত হচ্ছে। এখানে বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে চক্রান্ত চলছে। রাজ্যের কিছু নেতা এমন বিবৃতি দেন, যে ভাষায় পাকিস্তানে কথা বলা হয়। কাশ্মীরে পাথর ছোড়া হয়, সেখানে এই ভাষায় আক্রমণ করা হয়। কিছু লোক রং পরিবর্তন করেন। তাঁরাও মন্তব্য করেছেন। আমি তৃণমূলের সমালোচনা করব, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের। ১৯৭১ সালে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় মানুষ আমাদের দেখেছে।”
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়েও বেশ উদ্বিগ্ন বঙ্গ বিজেপি শিবির। বুধবার বিকেলের সাংবাদিক বৈঠকে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কোভিডকে হারাতে পারলে রাজ্যভাষী খুশি হবে। বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ হয়েছে। এখানে হল না। জনপ্লাবন ধরে টেস্ট করানো সম্ভব? এটা কোনও সরকারই পারবে না। এটা মেলার সরকার, এরা মেলা চায়। কোথায় নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে? এতো কিছুর পরেও ভোট হচ্ছে। আমাদের মতে একমাস পিছনো হোক।”
আরও পড়ুন : Covid Bulletin: দার্জিলিং, নদিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ বেড়ে দ্বিগুণ, রাজ্যে নতুন আক্রান্ত ২২ হাজারের বেশি