TET: পুজোর আগেই ২৩ জনের চাকরি, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 05, 2022 | 7:23 PM

TET: প্রাথমিক পর্ষদের ভুলে তাঁরা চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। পর্ষদ নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিলেও এখনও চাকরি দেননি এই অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়েছিল।

TET: পুজোর আগেই ২৩ জনের চাকরি, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
কলকাতা হাইকোর্ট।

Follow Us

কলকাতা: পুজোর মুখেই চাকরি পেতে চলেছেন ২৩ জন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই নির্দেশ দেওয়া হল সোমবার।  প্রাথমিক পর্ষদের ভুলে ২৩ জন চাকরি পাননি বলে অভিযোগ। পর্ষদ নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিলেও এখনও চাকরি দেননি এই অভিযোগে মামলাটি দায়ের হয়েছিল। মামলা করেন সোহম রায় চৌধুরী নামে এক চাকরি প্রার্থী। সোমবার আদালতে মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত। ছিলেন বোর্ডের আইনজীবী সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই মামলার শুনানিতেই এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে ২৩ জনকে। শিক্ষক দিবসেই শিক্ষক হওয়ার লড়াইয়ে জয়, দারুণ খুশি মামলাকারীরা।

২০১৬ সালে প্রাইমারি টেটে পাশ করেননি এই ২৩ জন চাকরিপ্রার্থী। তা হলে কেন চাকরি চাইছেন তাঁরা? মামলাকারীদের যুক্তি, তাঁরা ৬ নম্বরের জন্য টেট পাশ করতে পারেননি। সেটা পর্ষদেরই ভুল ছিল বলে দাবি মামলাকারীদের। তাঁরা জানান, ২০২১ সালে প্রাইমারি বোর্ড স্বীকার করে নেয়, তাঁরা ৬ নম্বর পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তারপরও নিয়োগ নিয়ে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বোর্ডের যুক্তি ছিল, এখন কোনও শূন্যপদ নেই। এরপরই মামলা করেন ২৩ জন।

মামলাকারীদের দাবি, পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল। তাই ৬ নম্বর পাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। সেই ৬ নম্বর পেলেই টেট পাশ করে যেতেন তাঁরা। বাকি টেট উত্তীর্ণদের মতোই চাকরি পেতেন তাঁরা। মামলাকারীদের বক্তব্য, তাঁরা প্রথমে ৬ নম্বরের দাবি পর্ষদের কাছেই রাখে। কিন্তু ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পাঁচ বছর ধরে কোনও উত্তর তাঁরা পাননি। মামলাকারীদের বক্তব্য, তাঁদের নিয়ে ভাবনাচিন্তা না করেই ২০২০ সালে নতুন করে একটা নিয়োগ হয়। এরপরই আইনি পথে হাঁটেন তাঁরা।

এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বোর্ডের ভুলে পাঁচ বছর চাকরি পাননি। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে এই ধরনের যত মামলা আসবে, তিনি সেগুলোও বিবেচনা করবেন বলে এদিন জানান। আদালতের এই নির্দেশের পর মামলাকারী সোহম রায় চৌধুরী বলেন, “সত্যের জয় তো হবেই। আমরা এত বছর ধরে লড়াই চালিয়ে আসছি। খুবই ভাল লাগবে নিয়োগ পেলে। আমাদের এক স্যর ছিলেন। আজ সুদীপ্তবাবুও আমাদের জন্য লড়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞ।”

Next Article