কলকাতা: ধর্ষণ কিংবা মেয়েদের উপর নিগ্রহের ঘটনার ক্ষেত্রে বারবার অভিযোগ ওঠে তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে। বিভিন্ন সময় অভিযুক্তরা মেয়েটির পরিবারকে হুমকি দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে। যার প্রভাব পড়ে যথাযথ তদন্তের পথেও। হাঁসখালি থেকে রায়গঞ্জ কিংবা মাটিয়া, সম্প্রতি যতগুলি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠেছে, মেয়েটির পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। মুখ খুললে প্রাণনাশের কথাও বলা হচ্ছে। এবার এ নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। হাঁসখালির নির্যাতিতার পরিবার ও তার সাক্ষীদের নিরাপত্তার যাবতীয় ব্যবস্থা রাজ্যকেই করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের ২০১৮ সালের ‘সাক্ষী নিরাপত্তা স্কিম’-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরেছে। পিপি, সেশন জাজ ও এসপি এই স্কিমের আওয়ার নিরাপত্তার বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করবেন। যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যত দিন না তা করা যাচ্ছে ততদিন রাজ্যেকে নির্যাতিতার পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবারের মানসিক সুস্থতা ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও রাজ্যকে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মূল অভিযুক্তের বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। একাধিক জায়গায় ঘুরে, একাধিক মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের করে তারা। এরপর ৫-৬ জনকে নিয়ে যাওয়া হয় কৃষ্ণনগর সিবিআই ক্যাম্পে। সেখানে বসিয়েও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই যুবককে। সূত্রের খবর, এর মধ্যে হাঁসখালির নিহত নাবালিকার এক আত্মীয়ও রয়েছে। বাকিরা এলাকার যুবক। অভিযুক্তের বন্ধুরাও রয়েছে তালিকায়।
আরও পড়ুন: Teacher Arrested: ছাত্রী ব্যালকনিতে না এলে মন ভাল লাগে না স্যরের, এরপর যা পরিণতি হল শিক্ষকের…