Bangla NewsKolkata West bengal chief mininster mamata banerjee at netaji indoor stadium
UPDATE Mamata Banerjee: ডিসেম্বর দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে দিল্লি যাব, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাইব : মমতা
Mamata Banerjee: মমতা বলেন, মঙ্গল-বুধবার আমাদের বড় শিল্প সম্মেলন হয়ে গেল। আমি শুনেছি যেগুলো সবথেকে বড় গরুর টাকা খায়, সবচেয়ে বেশি কয়লার টাকা খায়। গরু কাদের আন্ডারে, বিএসএফ। কাদের অরগানাইজেশন? দিল্লির।
নেতাজি ইন্ডোরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us
কলকাতা: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সমস্ত স্তরের নেতা কর্মীদের নিয়ে সভা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন
ডিসেম্বর দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে সংসদ চলবে। আমরা দিল্লি যাব। মানসিকভাবে তৈরি করুন। আমি যখন যাব, সমস্ত সাংসদকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাইব। যদি সময় দেন ভাল, সময় না দিলে রাস্তাই আমাদের রাস্তা দেখাবে। যদি আমাদের পেটায়, অনেক মার সিপিএমের কাছে খেয়েছি। আপনাদের কাছেও খেলাম না হয়। তাতে আমাদের শক্তি বাড়ে। বুথে মিছিল, মিটিং, ভোটার তালিকা, বিধায়কদের মিটিং নিয়ে আমি নিয়মিত খবর নেবো। তারপর দিল্লি চলো হবে। এমনিতেই এবার দিল্লি দখল হবে। আর তিনমাস। কিন্তু আমার ১০০ দিনের কাজের টাকা, আবাসের টাকা, রাস্তার টাকা দিতে হবে। মানুষের টাকা ফেরাতেই হয়। আর মাঝে কোনও কথা থাকবে না। : মমতা
যারা গদ্দার, ইন্ডিয়ার নাম যারা তুলে দিয়েছে, সিলেবাস তুলে দিয়েছে, ইতিহাসকে ভুলিয়ে দিয়েছে, তাদের কোনও ক্ষমা নেই। নিজেকে শক্তিশালী মনে করুন। মেয়েরা রান্না করত, বাটনা বাটত কোমরের এক্সারসাইজ হতো। এখন আমরা সব মেশিনে চলে গিয়েছি। তাই সুগার থেকে অনেক রকম রোগ বাড়ে। সৌগতদা মাঝে মাঝে বলেন আমার তো বয়স হয়ে গেল। কীসের বয়স? মানুষের মনের কোনও বয়স নেই। যতদিন বাঁচবেন, সুস্থ হয়ে বাঁচবেন। রয়াল বেঙ্গল টাইগারের মতো লড়বেন। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করব। : মমতা
ভোটার লিস্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। ৯ ডিসেম্বর শেষ দিন। পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম যেন তালিকায় থাকে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। ভোটার লিস্ট, পোস্টাল ব্যালট এখন থেকে নজর রাখবেন। বাড়ির মহিলাদের বলব, যে সব বাড়িতে ফর্ম পূরণের কেউ নেই, ভোটারকে বিডিও অফিসে নিয়ে যাবেন। বিডিও না থাকলে জেলাশাসককে লিখিত দেবেন। ইভিএম ঠিক মতো দেখতে হবে। কোথায় কী ঢুকিয়ে দেবে, ঠিক নেই। : মমতা
প্রতি বুথে বুথে বসবেন। বাবুরা যখন প্রচার করতে আসবেন, গায়ে হাত না দিয়ে বলবেন বাংলাকে লাঞ্ছনা করা চলবে না। প্রাপ্য টাকা ফিরিয়ে দাও বলবেন। ২-৩ বুথে বুথে মিছিল হবে। বঙ্গজননী আর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসকে মার্জ করে দিলাম মালা রায় চেয়ারম্যান. চন্দ্রিমা প্রেসিডেন্ট। একসঙ্গে কাজ করবে। ছাত্ররা আরও বেশি করে জেলায় জেলায় গিয়ে ইউনিটকে চাঙ্গা করুক। যুবরা বেশি করে যুবকদের আনুন। : মমতা
২-৩ ডিসেম্বর বুথে বুথে মিছিল করবেন। যারা নতুন এসেছেন পুরনোদের সম্মান দিয়ে মাথায় রাখবেন। নতুনদের পুরনোরা কাছে ডেকে নেবেন। আমরা সকলে সমান মাথায় রাখতে হবে। যদি কেউ পুরনো থাকেন, বঞ্চিত হয়েছে, অন্যভাবে আমি কাজে লাগাব। আমি চাই না কেউ বাইরে থাকুক। যদি কোনও লোক আপনাদের সঙ্গে যোগ দিতে চায়, ফেলে রাখবেন না নিয়ে নেবেন। ভাল মানুষ নেবেন। আপনাদেরই কর্তব্য এটা। কিন্তু অনেক সময় করেন না। কে কখন অনুমতি দেবে। আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি, বক্সীদার থেকে অনুমতি নেবেন। অভিষেকের চোখটায় একটু সমস্যা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়েছে। রক্ত বেরিয়েছে চোখ দিয়ে। ও ভার্চুয়ালি আপনাদের নমস্কার জানিয়ে তারপরই হাসপাতালে গেছে। : মমতা
২৮-২৯-৩০ তিনদিন বিধায়কদের আসতেই হবে। বিধানসভার ভিতরে বাবা সাহেব আম্বেদকরের মূর্তির নীচে বসে ২ ঘণ্টা করে ধরনা দেবেন। ১০০ দিনের টাকা, বাংলা আবাসের টাকা, রাস্তার টাকা দাও। না হলে বিদায় নাও। : মমতা
আমাদের ৪টে বিধায়ককে জেলে ভরে রেখেছে। ভাবছে এভাবে সংখ্যাটা কমিয়ে দিই। এবার থেকে আমাদেরও সিদ্ধান্ত চুরির জন্য বদনাম দিয়ে আমার ৪ জনকে জেলে রাখে, আমি তাহলে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি দলের পক্ষ থেকে ওদের ৮ জনকে জেলে ভরব। ওদের বিরুদ্ধে যা কেস আছে, খুনের কেস আছে, অন্য কেস আছে। পুলিশকে মারছে, আটা ছুড়ে দিচ্ছে মুখে। পুলিশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে : মমতা
নবজোয়ার আপনারা করলেন, সফল হয়নি? সব সফল হবে। আবার দিল্লি যেতে হবে। আমাদের ২৪ তারিখ থেকে বিধানসভা চালু হচ্ছে। আমি বলব বিধায়কদের ২৮-২৯-৩০ আসতেই। না জানিয়ে বিধানসভায় আসছেন না এটা ঠিক নয়। ওরা সবেতেই ভোট চায়। ওদের চিমটি কাটা স্বভাব। ওরা রাম চিমটি দিলে আপনি শ্যাম চিমটি দেবেন। কাজ করতে হবে। নিজেকে অহংকারী ভাববেন না। : মমতা
আমায় গালাগালি দাও, কেয়ারও করি না। এরা সারাদিন কাজ করে না। মাথায় নেংটি ইঁদুর ঘুরে বেড়ায়। নেংটি ইঁদুরের বুদ্ধি যা হয়। শুধু কুটুস কুটুস। তাই আমাদের আরও জাগ্রত হতে হবে। কেউ বলল তারপর করব, তা না। অনেক জায়গায় ব্লক নেতা বদলেছে। অনেকে ভাবলেন আমি কি হারিয়ে গেলাম? না। ওয়ান ম্য়ান ওয়ান পোস্ট। আমাকে ২টো পোস্ট দিয়েছে কেন জানি না। আমিও বলেছিলাম আমাকে একটা পোস্ট দাও। : মমতা
শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের নাম মুছে দিল। : মমতা
ট্রেনের ভাড়া এরা প্লেনের ভাড়ার থেকে বেশি করে দিয়েছে। ইজ্জত চালু করেছিলাম। ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত তিন মাসে মাত্র ১৫ টাকায় যাতায়াত করতে পারবেন। এরা মানুষের ইজ্জত কেড়ে নেয়। : মমতা
ইন্ডিয়ান ক্রিকেটাররা এত ভাল খেলল, সব খেলায় জিতল। আর ওঁরা যেখানে গেল, সেখানে ভরাডুবি হল। বেশি চালাকি করতে গিয়েছে। সব ফেডারেশনগুলো নিয়ে নিয়েছে রাজনৈতিক দলের লোকেরা। আগে নিয়ম ছিল ফেডারেশন নেবে না। ফুটবলেও গেরুয়া, ক্রিকেটেও পরিয়ে দিয়েছে গেরুয়া। কাবাডিতেও তাই। : মমতা
ইসরোয় চন্দ্রাভিযান হল। শুধু বাংলারই আছেন ৪০ জন। বাংলার মেধাকে স্যালুট জানাই। ইসরোর তো দোষ নেই। ওই পাঠাল ওরা। মাটিতে নেমে বেচারা ঘুমিয়ে পড়ল। আর জাগছে না। যেখানে যাচ্ছে সেখানেই পতন। ধাক্কা শুরু হয়ে গিয়েছে। : মমতা
সংখ্যালঘু ভাইবোনের কাছে আমার বিশেষ আবেদন থাকবে, বিজেপির টাকা নিয়ে ২-১ জন ভুইফোঁড় উঠেছে। এমনকী হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের গাড়িকেও ধাক্কা দিয়েছে। ভাঙড়ের খুনেও জড়িত আছে। এরা গিয়ে বিজেপির টাকা নিয়ে সংখ্যালঘুদের কাছে নানারকম মিথ্যা কথা বোঝাচ্ছে। বিশ্বাস করবেন না। : মমতা
নজর রাখতে হবে। সবসময় পুলিশের উপর নির্ভর হলে হবে না। ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। আমার কানে যেন না আসে তৃণমূলের গোলমালে কোম্পানির গেট বন্ধ হচ্ছে, স্ট্রাইক হচ্ছে। এটা আমাদের পলিসি না। শ্রমিকদের সমস্যা থাকলে মলয় ঘটক, দোলারা আছে। কিন্তু আমি একটা বিধায়ক গিয়ে বন্ধ করে দিলাম, প্রোটেকশন দিলাম, ঠিক নয়। আমি সবাইকে অ্যালার্ট করছি। আর মনে রাখবেন, আপনাদের থেকে অনেক বড় চোর ওরা। আমি চাই না আমার কোনও কর্মী চোর বদনাম নিক। আপনি ৫ টাকা নিলে বদনাম হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকার। বিজেপি চুরি করলে তা এদিক ওদিক করে দিচ্ছে। কেউ প্রশ্ন তোলে না। : মমতা
প্রায় ১১-১২ কোটি লোক বাংলায় আছে। একটা ছোট্ট গোয়াতে যা করা যায়, বাংলায় সেটা সম্ভব নয়। জনসংখ্যা অনেক। তবু পাওয়ার ইউনিটে ছাড় দিয়েছি। এত কিছুর পর আমাকে বিজেপির কাছ থেকে জ্ঞান শুনতে হবে? সিপিএমের কাছে জ্ঞান শুনতে হবে? বদলা নিতে হবে। বদলা মানে রাজনৈতিক বদলা। রাজনৈতিকভাবে প্রতিটা বুথে হারিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিন। সব ব্লকে ব্লকে টাকা নিয়ে বসে আছে বিজেপির সংগঠনগুলো। লক্ষ্য রাখুন। : মমতা
আগে চাষিরা ধানের দাম পেতেন না। রেশনে ভাঙা চাল, অর্ধেক পাথর মিশিয়ে দিত। আমরা এখন চাষিদের থেকে ৫৪ লক্ষ কোটি মেট্রিক টন চাল সরাসরি নিই চাষিদের থেকে। বিনা পয়সায় সকলকে রেশন দিই। : মমতা
গ্রামীণ রাস্তাগুলো খারাপ হয়ে গিয়েছে। মানুষের কষ্ট হয়। আমরা নিজেদের থেকে ১১ হাজার রাস্তার কাজ করছি। আমি আমার সকল সাংসদকে বলব, গ্রামীণ রাস্তা করুন তহবিলের টাকায়। যার এলাকায় যা পড়ে। বাংলার বাড়িও হবে। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে যারা আবেদন করেছেন, ৯০ লক্ষ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, ৯০ লক্ষ বিধবা ভাতা তৈরি রেখেছি। উৎসব মিটলে গিয়ে গিয়ে দিয়ে আসব। আমাদের অনেক কাজ তৈরি। : মমতা
বাংলায় কিছু না থাকলে ৪০টা দেশ আসত? রাশিয়া, আফ্রিকা, জাপান, নেদারল্যান্ড থেকে প্রতিনিধি এসেছে। ইউকে থেকে ৫২ জন এসেছে। সকলে বলছে বাংলায় ব্যবসা করবে। বাংলাই ডেস্টিনেশন। বাইরে যারা কাজ করতে গিয়েছেন বলব, কিছু কনট্রাক্টর বেশি টাকার কথা বললেও যাবেন না। এখানে তো কাজ হচ্ছে। শামিরুলকে বলব, ওদের বলতে ফিরে এসে এখানে কাজ করো। : মমতা
সিপিএমের বড় বড় কথা। জয়নগরে ৩-৪টে পর পর খুন করেছে। যারা নরকঙ্কালের সম্রাট ছিল, বড় বড় কথা। শূন্যে চলে গিয়েছে, ওই শূন্যই থাকবে। যতই চেষ্টা করুক, কিছু আঁতেল পারবে না। : মমতা
৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে রঘুনাথপুরের শিল্পনগরীতে। আমরা ৫টা ইকোনমিক করিডর করছি। কর্মসংস্থানের ছড়াছড়ি হয়ে যাবে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির অনেক পাট্টাই তৈরি। আমি সময়মতো গিয়ে দেবো। : মমতা
৫০টা কাজ করতে গেলে, একটা ভুল হতেই পারে। কখনও কখনও ভুল হয়ে যায়। ওখানে সিপিএমের লোকগুলো বসে আছে। সবথেকে বেশি টাকা খায় ওরা। ওরাই দুর্নীতি বলে চিৎকার করে। কারণ, একটা পকেটমার টিম ওঠে গাড়িতে। যে পকেটমার, সে-ই পকেটমার বলে চিৎকার করে পালিয়ে যায়। : মমতা
দেউচা পাচামিতে লক্ষ লোকের চাকরি হবে। ১০০। ১০০ বছর কয়লার কোনও অভাব থাকবে না। এখন আমাদের ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশি দামে কয়লা কিনতে বাধ্য করে। কারণ, ওখানে কাটাকুটি আছে। একটা গরিব লোক যদি একটার জায়গায় ২টো বিড়ি খায়, সে কোল মাফিয়া, গরু মাফিয়া হয়ে যায়। আর তোমরা কোটি কোটি টাকার কাটাকুটি খেলো, কোটি কোটি টাকার লুডু খেলো তোমাদের কিছু হয় না। তোমরা সাধু? : মমতা
৯০০ ইউনিট হয়েছে এমএসএমইতে। ৬০২টি নতুন ক্লাস্টার হয়েছে। সিপিএমের কথা বলা মানায়? ৩৪ বছর রাজত্ব করে ৪৯টা করেছিল। আমরা ১১ বছরে ৬০২টো করেছি। রাজনৈতিকভাবে ওদের কান মুলে দেওয়া উচিত। : মমতা
যারা শিল্প সম্মেলন নিয়ে বড় বড় কথা বলছেন, কিছুই হয় না বলছেন। হয় না? ৬টা বিজিবিএস-এ আমরা প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকার মতো ইনভেস্টমেন্ট পেয়েছি। তার মধ্যে ১০ লক্ষ কোটি টাকা খরচও হয়ে গিয়েছে। বাদবাকিটা প্রসেসে চলছে। গতকাল আমাদের সপ্তম বিজিবিএস শেষ হয়েছে। আমরা অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছি। বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি এসেছে ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৮৮ কোটি টাকারও বেশি। আমাদের জিএসডিপি চারগুণ বেড়েছে। রাজস্ব চারগুন বেড়েছে। টাকা না দেওয়ার পরও। মোট বাজেট বরাদ্দ ৩.৮ শতাংশ বেড়েছে। এই ইনভেস্টমেন্টগুলো থেকে ইতিমধ্যে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। শুধু এমএসএমইতে আলাদা আমার ১ কোটি ৩৬ লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। মুখ্যসচিবকে বলেছি, শ্বেতপত্র তৈরি করে সকলের হাতে দিয়ে দিতে। : মমতা
একটা খিচুড়ি দল। গায়ের জোরে যা খুশি করে। বুথে বুথে এখন লোক পাঠাচ্ছে। ছবি নিয়ে গিয়ে দিল্লি মে ইয়ে কিয়া ও কিয়া বলছে। আরে আমাদের টাকা কই? ১০০ দিনের কাজের টাকা দেবে না। আমি কিন্তু আগের থেকে এবার তার ডবল করিয়েছি আমি। : মমতা
এখানে তো অনেক ভাল আছো তোমরা। কোলবালিশ নিয়ে শুয়ে আছো। কোটি কোটি টাকার বেনামি সম্পত্তি করছ। দিল্লিতে ক্ষমতায় বলে যা খুশি তাই করছে। যে ইডি, সিবিআইকে দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে যা করছ, মনে রেখো আগামিদিনে তা এই আধিকারিকরাই তোমাদের সঙ্গেও করবে। সেদিন তোমাদের কেউ নিরাপত্তা দেবে না। : মমতা
আমাদের ছেলেপেলেরা, অভিষেক, ডেরেক, সুদীপদা, সৌগতদা সকলে বসে থাকল। ধরনা দিল। অফিশিয়াল টাইম চাইল, বড় মন্ত্রী পালিয়ে গেল। তার আগে গদ্দারদের সঙ্গে দেখা করার সময় পেল। আমাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার সময় হল না। একটা ছোট মন্ত্রীকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করতে বলল। সেখানে চার ঘণ্টা বসিয়ে রেখে মন্ত্রী পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেল। আর আমাদের লোককে গ্রেফতার করল। : মমতা
জনগণের টাকা দিয়ে একটা মন্দির করে ভাবছ ইতিহাস তৈরি করলে? কই দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের স্কাই ওয়াক করে দিয়েছি। জনগণের থেকে টাকা তো নিতে হয়নি। তারাপীঠে কাজ হয়েছে। কালীঘাটের মন্দিরের ভিতরটা মুকেশরা চেয়েছিল, ওদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাইরেটা ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে স্কাইওয়াক আমরা করে দিচ্ছি। তারকেশ্বর, কঙ্কালীতলা, পাথরচাপড়ি কোনটা হয়নি? : মমতা
আমাদের এখানে কী হয়নি? টিভিতে বসে কচকচানি করে আর কচুর টক বানায়। কুটকচালি করে কৈকেয়ী, মন্থরার মতো। তাদের আমি জিজ্ঞাসা করি, দুর্গাপুজো ইউনেস্কো হেরিটেজ পেল, বাংলার সম্মান বাড়েনি? ইউনেস্কো পশ্চিমবঙ্গকে টুরিজম ও কালচারের ওয়ার্ল্ড ডেস্টিনেশন করেছে মুখে দেখে? আমাদের সব আছে। পাহাড়, জঙ্গল, নদী, সমুদ্র সব। : মমতা
পুজো কমিটিগুলোকে টাকা দেওয়া হলে কোর্টে চলে যাচ্ছে। ভোট যাতে না করা হয়, কোর্টে চলে যাচ্ছে। যা ইচ্ছে করছে। সব প্লেনের অর্ডার দিয়ে এলে প্রশ্ন তো উঠবেই। একদিন তোমরা রাজীব গান্ধীর বোফর্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলে। রাস্তায় রাস্তায় লিখে দেওয়া হয়েছিল, গলি গলি মে শোর হ্যয়, রাজীব গান্ধী চোর হ্য়য়। আজ তোমরা কত ডিল করেছ? কাশীপুর গানশেল ফ্যাক্টরি এখন অর্ডার পায় না। সব বিক্রি করে দিয়েছে। : মমতা
পাবলিক সেক্টর সব বিক্রি করে দিচ্ছে। রেল বেচে দিচ্ছে। আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, সাবোতাজ করে ২-৩টে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিল বলে আমি অ্যান্টিকলিশন ডিভাইস তৈরি করে এসেছিলাম। যাতে ট্রেনে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। দিল্লির মেট্রো আমার করা, মুম্বই রেল বিকাশ কর্পোরেশন আমার করা, কলকাতার যত মেট্রো রেলের প্রজেক্ট। আমি ২ লক্ষ টাকার প্রজেক্ট দিয়ে এসেছিলাম। করব আমরা, তোমরা গেরুয়া রং লাগাবে। গেরুয়া তোমাদের নয়। গেরুয়া ত্যাগীদের, ভোগীদের নয় : মমতা
বাংলার চাষিরা ফার্টিলাইজার পায় না। সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে। গ্যাস, পেট্রোলের দাম বাড়িয়েছে। একটা মুদির দোকান। বলছে নকুলদানা কিনতে হলেও জিএসটি দিতে হবে। আর সেই টাকা জমা করে রেখে দিয়েছে। : মমতা
বড় বড় রাজবাড়িগুলিতে জমিদাররা বসে আছেন। সুপ্রিম কোর্টের কথা পর্যন্ত শুনছে না। সুপ্রিম কোর্ট বলে দিল, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল বসে যদি তালিকা ঠিক করে আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। আমি তো গিয়েছিলাম কথা বলতে। তারপরই নোট পাঠিয়ে দিলেন সব বিচারাধীন! কোর্টের নামেও মিথ্যা কথা বলছেন? কে আপনারা? বিজেপির মনোনীত ছাড়া আর কিছু নয়? সরকারি টাকায় খাবেন, সরকারি টাকায় ঘুরবেন, সরকারি টাকায় পুরস্কার দেবেন, সরকারি টাকায় আরও কিছু করে বেড়াবেন। কালারফুল লাইফ লিড করবেন। আর একটা বিল আমরা পাশ করতে পারি না। একটা বিল পাশ করেন না। : মমতা
আজকে বাংলায় একটা হিংসা হলে, প্রি-পোল ভায়োলেন্স, পোস্ট পোল ভায়োলেন্স। আর আপনাদের সময় হলে তখন কী হয়? তখন ক’টা মানবাধিকার দল যায়, কমিশন যায়? : মমতা
তিন মাসের মেয়াদ। তিন মাস বাদে ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে। ওই এক দুই তিন, এবার বিদায় দিন। তিন মাস যাদের আয়ু, ভয়ে থর থর করে কাঁপছে। কেন্দ্রের দুর্নীতি বেড়ে গিয়েছে। আমি অনেকের কাছে শুনেছি, যা টাকা চাইছে, তারা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে। ৭০ হাজারের উপর লোক ভারত ছেড়ে এদের অত্যাচারের ভয়ে পালিয়েছে। : মমতা
মেট্রোর রেলের স্টেশনে গেরুয়া করে দিয়েছে। আমাদের চিঠি দিচ্ছে, সাহস কত বড়। বলছে, সব গেরুয়া করে দিতে হবে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো। না হলে টাকা দেব না। আমি বলি, তোর টাকা আমি চাই না। ভাগ! : মমতা
একটাই ট্যাক্স জিএসটি। রাজ্য কোনও ট্যাক্স তোলে না। সবটাই কেন্দ্র তুলে নিয়ে চলে যায়। তাতে আমাদের শেয়ারটা আমাদের দেওয়ার কথা। সেই টাকা থেকে দিয়েও বলছে ছবি লাগাতে হবে বাবুর। বাবুদের নামে স্টেডিয়াম হবে, জমিদারি হবে। বাবুদের নামে স্ট্যাচু হবে। এমনকী একটা বাথরুম তৈরি করতে হলেও এখন বাবুদের ছবি দরকার : মমতা
১০০ দিনের টাকা বন্ধ। গরিব লোকগুলো মাথায় মাটি তুলেছে, কাজ করেছে। রাস্তায় কাজ করেছে। এরাই আসল মানুষ। আগে আশা কর্মীদের ৩ হাজার টাকা দিত। হঠাৎ করে বন্ধ। তারপর আমি দেওয়া শুরু করলাম। আইসিডিএসে আগে ১০ শতাংশ রাজ্যের ছিল, কেন্দ্র ৯০ শতাংশ দিত। সেটা বিজেপির পকেটের টাকা নয়। এ টাকা জিএসটি ট্যাক্স। : মমতা
আমাদের অ্যালেয়েন্সের নাম দিলাম। বলল কী হবে? নামটা আমার কাছ থেকেই এসেছে। আমি বললাম, ইন্ডিয়া। কারণ, আমাদের দেশের নামও ইন্ডিয়া। আর ফরম্যাট করে আমরা একটা ফরমেশন করলাম। ও মা পরের দিন থেকে ইন্ডিয়া চেঞ্জ। তাহলে বুঝুন। ভারত তো আমরাও বলি। কিন্তু কনস্টিটিউশন অব ইন্ডিয়া এটা বদলাবেন কী করে? : মমতা
আমি তো এখনও বলতে পারি, ইন্ডিয়ার ফাইনাল যদি কলকাতায় হতো বা ওয়াংখেড়েতে হতো আমরা জিততাম। আমাদের ছেলেমেয়েরা এতভাল খেলাধূলায়, সব গেরুয়া পরিয়ে দিয়েছে। বুঝুন। সব গেরুয়া পরিয়ে দিয়েছে। ইভেন খেলতে গিয়েও বলেছিল, নীল পরা যাবে না। প্লেয়ারদের আপত্তিতে সেটা খাটেনি। তাও দেখবেন নীলের মধ্যে একটু হলুদ লাগিয়ে দিয়েছে, একটু গেরুয়া লাগিয়ে দিয়েছে।: মমতা
বাইরে গদ্দাররা বলছে, অমুক দিন ওর বাড়িতে যাবে। অমুক দিন চলে গেল। লুঠ করে নিয়ে চলে এলো সবকিছু। একটা সিজারলিস্ট দিল না। আজকে এইভাবে চমকে ধমকে সবাইকেই আন্ডারগান রেখে দিয়েছে দিল্লির সরকার। এই সরকার যত তাড়াতাড়ি যায়, ততই মানুষের মঙ্গল। : মমতা
আমাদের লোকেরা সবাই চোর? দুর্নীতি দেখাচ্ছে। আজ খুব হাসছেন, ভাবছেন পার্থ জেলে, কেষ্ট জেলে, আমাদের আরও কয়েকজন জেলে। আমাদের মানিক ভট্টাচার্য জেলে, বালু জেলে। এটাই চলবে? আগামিদিন যখন আপনারা ক্ষমতায় থাকবেন না, কোথায় থাকবেন, সেলে? নাকি কোলে? নাকি কোলবালিশ হয়ে দুলবেন? এখন সিপিএম আর বিজেপি কোলবালিশ হয়ে দুলছে। : মমতা
কোল ইন্ডিয়া কাদের আন্ডারে? ওখানে সিআইএসএফ আছে। কেন্দ্রীয় সরকার আছে। আমি যে পয়েন্টগুলো বলছি, লিখে নিন। এলাকায় এলাকায় এগুলো মিটিংয়ে বলবেন। আমি শুনি, ভুলে যাই মনে রাখি না। একটা কথা বারবার বলতে হবে। মিথ্যা কথা বলে বলে অনেক সময় মিথ্যাকে সত্য করে দেওয়া হয়। আপনাদের কাজ সত্যটা তুলে ধরা, সঠিক পথে তুলে ধরা : মমতা
মঙ্গল-বুধবার আমাদের বড় শিল্প সম্মেলন হয়ে গেল। আমি শুনেছি যেগুলো সবথেকে বড় গরুর টাকা খায়, সবচেয়ে বেশি কয়লার টাকা খায়। গরু কাদের আন্ডারে, বিএসএফ। কাদের অরগানাইজেশন? দিল্লির। বর্ডার পাহারা দেয় তারা। গরু আসে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, রাজস্থান থেকে। সেখান থেকে যখন গাড়িগুলো আসে, তখন তোমরা টাকা খাও না, তোমরা কি লেবেনচুস খাও? : মমতা
উৎসবের মরসুমে প্রশাসনের ভূমিকায় খুশি মমতা। বলেন, “পায়ে চোট আমি ঘরে বসে দেখেছি, প্রতিটা জেলা, ব্লক যেভাবে পুজোগুলো নিয়ে এসেছে, উত্তরণ হয়েছে, আগামিদিন কলকাতার পুজো কমিটিগুলিকে ভাবাবে। কলকাতায় যারা বড় পুজো করে তাদের বললাম তোরা এবার কি থিম করবি বল, ওরা তো সবই নিয়ে নিয়েছে। জেলাগুলো কিছুই বাকি রাখেনি। আগে তিনদিন দুর্গাপুজো হতো, এখন তো মহালয়া থেকে পুজো শুরু।”