কলকাতা: ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এক গবেষণাপত্র তুমুল বিতর্ক ছড়িয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। আর এসবের মধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশঙ্কা, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক মেশিন ‘হ্যাক’ হতে পারে। বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘর থেকে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে মমতার দাবি, ‘ওরা প্ল্যানিং এখন থেকেই করছে। ওরা ইলেকশনের ইলেকট্রনিক মেশিন হ্যাক করার বিভিন্ন ব্যবস্থা করছে। আমরাও কিছু প্রমাণ পেয়েছি, কিছু খুঁজছি। এটি নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আলোচনা হবে।’ তৃণমূল সুপ্রিমো জানালেন, বিরোধী জোটের বৈঠকের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে।
নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই আশঙ্কার কথা বলার পরই পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি শিবিরও। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলা যে অশান্তি ও গোলমালের সাক্ষী থেকেছে, সেই কথাও আরও একবার মনে করিয়ে দিচ্ছে পদ্ম শিবির। বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যর সাফ বক্তব্য, ‘তৃণমূলের কোনও অভিযোগের কোনও গ্রহণযোগ্যতা এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে নেই। বাংলার মানুষ সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন দেখেছে। দখলদারি, খুন, রক্তপাত, শিশুমৃত্যু দেখেছে। বিডিওর কারিগরি দেখেছে।’ তাঁর কথায়, যেভাবে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা গোটা বাংলা দেখেছে। মানুষ নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোট দেবে বলেই মনে করছেন তিনি।
সময় মতো লোকসভা ভোট আয়োজিত হলে, হাতে আর এক বছরও নেই রাজনৈতিক দলগুলির কাছে। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিয়েছে সব দলগুলি। এনডিএ শরিক দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে রণকৌশল তৈরি করছে বিজেপি। আবার কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএমের মতো বিরোধী দলগুলি একছাতার তলায় এসে ইন্ডিয়া জোট গঠন করে লোকসভার ব্লু প্রিন্ট তৈর করতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলে, সেই দিকেই নজর ওয়াকিবহাল মহলের।