Mamata writes to Modi: তিন ফৌজদারি আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার হোক, ভোট মিটতেই মোদীকে চিঠি মমতার

Jyotirmoy Karmokar | Edited By: Soumya Saha

Jun 21, 2024 | 11:43 AM

Mamata-Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পাঠানো তিন পাতার ওই চিঠিতে মমতার দাবি, যেভাবে বিলগুলি পাশ করানো হয়েছে, তা গণতন্ত্রের 'কালো অধ্যায়'। এমন অবস্থায় তাই ওই তিনটি বিলের নতুন করে সংসদীয় পর্যালোচনার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Mamata writes to Modi: তিন ফৌজদারি আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার হোক, ভোট মিটতেই মোদীকে চিঠি মমতার
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার
Image Credit source: Twitter

Follow Us

কলকাতা ও নয়া দিল্লি: লোকসভা ভোট মিটতেই এবার কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াল রাজ্য সরকার। বিগত লোকসভায় পাস হওয়া তিন ফৌজদারি আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক, সেই আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই নবান্নে পি চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, নবান্নের সেই বৈঠকের পরই এই চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, যে সময়ে এই তিনটি বিল পাস করানো হয়েছিল, সেই সময় সংসদের উভয় কক্ষেই লোকসভা ও রাজ্যসভায় তুমুল হই হট্টগোলের ছবি ধরা পড়েছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছিল, ১৪৬ জন সাংসদকে সেই সময় সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনাও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

উল্লেখ্য, গত বছর সংসদে পাশ হয়েছিল ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩, ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম ২০২৩ এবং ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ২০২৩। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে মমতা লিখেছেন, গত বছরের ডিসেম্বরে পাশ হওয়া ওই তিনটি বিল অধিবেশনে একপ্রকার কোনও বিতর্ক-আলোচনা ছাড়াই পাস করানো হয়েছিল। লোকসভা থেকে প্রায় ১০০ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। উভয় কক্ষ মিলিয়ে ১৪৬ জন সাংসদ।

তিন পাতার ওই চিঠিতে মমতার দাবি, যেভাবে বিলগুলি পাশ করানো হয়েছে, তা গণতন্ত্রের ‘কালো অধ্যায়’। এমন অবস্থায় তাই ওই তিনটি বিলের নতুন করে সংসদীয় পর্যালোচনার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, এই তিনটি বিল যখন সংসদে পেশ হয়, তখন কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে-সহ একাধিক বিরোধী দল এর তীব্র বিরোধিতা করেছিল। তাদের বক্তব্য ছিল, এই তিন ফৌজদারি বিলে বেশ কিছু জায়গায় পুরনো আইনকেই ‘কপি-পেস্ট’ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে ঔপনিবেশিকতা থেকে মুক্তির কথা বলছে, কিন্তু এই বিলগুলিতে সেই ঔপনিবেশিক ধ্যান-ধারনাকেই আঁকড়ে ধরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

প্রসঙ্গত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও চিঠি পাঠিয়েছিলেন। নতুন ফৌজদারি আইন নিয়ে যাতে তাড়াহুড়ো না করা হয়, এবং সকলের সঙ্গে আলোচনা করে একটি ঐক্যমতে আসা যায় সেই বার্তা দিয়েছিলেন মমতা।

প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে আরও আসন বাড়িয়েছে তৃণমূল। জাতীয় রাজনীতির পরিসরে বিরোধী শিবিরে আরও গুরুত্ব বেড়েছে তৃণমূলের। এমন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পাঠানো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই চিঠি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Next Article