দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার পরও আক্রান্ত বহু! প্রথম শ্রেণির লড়াকুরাই আজ বেসামাল

শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী | Edited By: সুমন মহাপাত্র

Apr 20, 2021 | 3:22 PM

করোনার (COVID Situation) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক পুলিশ কর্মী-কর্তা।

দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার পরও আক্রান্ত বহু! প্রথম শ্রেণির লড়াকুরাই আজ বেসামাল
ফাইল চিত্র

Follow Us

কলকাতা: করোনার (COVID Situation) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। আক্রান্ত হচ্ছেন একের পর এক পুলিশ কর্মী-কর্তা। করোনার দুটি ডোজ় নেওয়ার পরও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের ৭০ জন কর্মী আক্রান্ত।

প্রথম ধাক্কাতেই অনেক পুলিশ কর্মী আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল একাধিক পুলিশ কর্মী-উচ্চপদস্থ কর্তার। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ক্ষেত্রেও বেসামাল কলকাতা পুলিশ। প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারাই আরও বেশি করে আক্রান্ত হচ্ছেন। লালবাজার সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ৭০ জন পুলিশ কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৮ জন করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। লালবাজার সূত্রের খবর, ৩৩ হাজার পুলিশ কর্মীকে করোনার প্রথম ডোজ় দেওয়া হয়েছে। মোট ২০ হাজার পুলিশ কর্মীকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হয়েছিল। অ্যান্টি বডি তৈরি হওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উপসর্গ কিছুটা কম দেখা দিয়েছে তাঁদের মধ্যে।

লালবাজারের তরফ থেকে বলা হয়েছে. প্রত্যেক পুলিশ কর্মীর পরিবারের সদস্যরাও যাতে করোনার টিকা নেন। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলেন, সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক পুলিশ কর্মীকে যথাযথ নিরাপত্তা দিচ্ছে লালবাজার। কিন্তু প্রথম সারির যোদ্ধাদেরই এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন উচ্চ মহল।

গত বছর দেখা গিয়েছে, পুলিশ কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামূলক প্রচার করেছেন। কখনও ছবি এঁকে, আবৃত্তি বা গান করে মানুষের মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন। ইডেনে কলকাতা পুলিশের তরফে করা হয়েছিল সেফ হোম।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৮ হাজার ৪২৬। সক্রিয় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৭৮০। ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ জন। এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৫৩। এ পর্যন্ত মোট প্রাণ হারিয়েছেন ১০ হাজার ৬০৬।

আরও পড়ুন: শোয়ানো ছিল একের পর এক লাশ, কোনওটিই যে তাঁর স্বামীর নয়! কোভিড হাসপাতাল থেকে অন্যত্র চলে গেল করোনা রোগীর দেহ

করোনা সংক্রমণের দাপটে শয্যা সঙ্কট দেখা দিয়েছে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে। বিকল্প হিসাবে বেসরকারি হাসপাতালের লবি, পার্কিস স্পেস, বহির্বিভাগে শয্যার পরিকাঠামো গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য। স্যাটেলাইন সেন্টার নিয়ে আজ হোটেল মালিক, বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য।

Next Article