ভ্যাকসিন সঙ্কট রুখতে তৎপর বাংলা, রাজ্যে একই দিনে এল ৭ লক্ষেরও বেশি ডোজ় !

Jun 02, 2021 | 9:15 AM

স্বস্তির খবর। একই দিনে রাজ্যে আসছে ৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩৪০ ডোজ় ভ্যাকসিন (COVID Vaccine)।

ভ্যাকসিন সঙ্কট রুখতে তৎপর বাংলা, রাজ্যে একই দিনে এল ৭ লক্ষেরও বেশি ডোজ় !
ছবি:PTI

Follow Us

কলকাতা: স্বস্তির খবর। একই দিনে রাজ্যে আসছে ৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৩৪০ ডোজ় ভ্যাকসিন (COVID Vaccine)।

আজ, বুধবার ভোরে এসে পৌঁছেছে ২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৭৯০ ডোজ় কোভ্যাকসিন (Covaxin)। এই ভ্যাকসিন কিনেছে রাজ্য। আর কোভ্যাকসিন পৌঁছনোর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কেন্দ্রের তরফে পাঠানো হচ্ছে ৫ লক্ষ ২০ হাজার ৫৫ ডোজ় কোভিশিল্ড (Covishield) ভ্যাকসিন। বুধবার বিকেলে এই ভ্যাকসিন পৌঁছনোর কথা।

উল্লেখ্য, রাজ্যে কমেছে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা। ৪২ দিন পর সংক্রমণ নেমে এল ১০ হাজারের নীচে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৪২৪ জন। কমেছে সংক্রমণের হারও। তবে চিন্তার বিষয় একটিই, যে হারে সংক্রমণ কমছে, সেই হারে কমছে না মৃত্যুর হার। সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার বরং মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জন করোনা রোগীর।

রাজ্যের দুই অন্যতম সংক্রমিত জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ধীরে ধীরে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ১ হাজার ৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর বলছে, যেভাবে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজারে নেমে এসেছে, তা সত্যিই বেশ খানিকটা স্বস্তির। লকডাউনের যে একটা সুফল পাওয়া গিয়েছে, তা এটায় স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: ‘রোগীরা পাননি জীবনদায়ী ওষুধ, ভুল করেছি, ভয় পেয়েছিলাম…’ কান্না ভেজা গলায় স্বীকারোক্তি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অভিযুক্ত নার্সের

তবে সংক্রমণের হারের ‘ডাউনফল’ শুরু হয়েছে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না স্বাস্থ্য অধিকর্তারা। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে, তাতে স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, একটি নির্দিষ্ট মাপকাঠিতে হয়তো এই দুই জেলা পৌঁছে গিয়েছে। তবে আরও একটি বিষয় রয়েছে। এমন অনেক জেলা রয়েছে, যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ওঠানামা করছে। যেমন হুগলি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা সেখানে ৬০০। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুরেও গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আক্রান্তের সংখ্যা কমেও হঠাৎ বেড়ে যাচ্ছে। কেন এমনটা হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তা ব্যক্তিরা।

Next Article