কলকাতা: গরমের ছুটির কারণে পিছোচ্ছে একাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা। জুন মাসে স্কুল খুললে তারপর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিল সংসদ। বুধবার নবান্নে রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। সেখানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, বৈঠক চলাকালীন তিনি পরামর্শ দেন গরমের ছুটি যদি এগিয়ে এনে ২ মে থেকে চালু করা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, বাচ্চাদের স্কুল থেকে ফিরতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। এরপরই স্কুল শিক্ষা দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায়, ২ মে থেকেই গ্রীষ্মাবকাশ চলবে। বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের মত পাহাড়ি এলাকা বাদ দিয়ে রাজ্যের বাকি জায়গায় একাদশ শ্রেণির প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা আপাতত পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে কারও ২ মে’র আগে পরীক্ষার দিনক্ষণ ঠিক থাকলে সেক্ষেত্রে পরীক্ষা নিতে পারে।
ইতিমধ্যেই এই গরমের ছুটি, পরীক্ষা পিছোনো নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে শাসকদল ও বিরোধীরা। বিজেপি আগে থেকেই গরমের ছুটি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়ে তোপ দেগেছে রাজ্য সরকারকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “উওরবঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে। তাও ওখানে স্কুল কলেজ বন্ধ। এই সরকারের কাজই হচ্ছে সব কিছু বন্ধ রাখা।” এ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর কথায়, “কলকাতা-সহ আশেপাশে গরম বেড়েছে। উত্তরবঙ্গে তো বৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিলেন। আগামী কয়েক দিনে তো গরম কমে যাওয়ার কথা। এটা কি মুড়ি মুড়কি? বিশেষজ্ঞদের মত না নিয়েই উনি ঘোষণা করে দিলেন কেন?”
যদিও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “যাঁরা এসব বলছেন, বলব বিজ্ঞপ্তি ভাল করে পড়ুন। পাহাড়ের তিনটি জেলায় ছুটি দেওয়া হয়নি। শিলিগুড়ির জন্য দেওয়া হয়েছে। কারণ ওখানে যথেষ্ট তাপপ্রবাহ আছে। আসলে যারা বিভেদের কথা বলে, তারা এসব বলছে।” একইসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, “বেসরকারি স্কুলগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে রাজ্যের এই বিজ্ঞপ্তি মেনে চলার জন্য। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বয়ংশাসিত। ওরা নিজেদের মতো করে বিবেচনা করবে।”
আরও পড়ুন: CM Mamata Banerjee: ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়ারা কে কোথায় পড়বেন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, চাকরি দুই শ্রমিককেও