Bardhaman Country Liquor: মদে বিষক্রিয়ায় একের পর এক মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ আবগারি দফতরের

Excise Department: কী করে এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে আবগারি দফতর। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Bardhaman Country Liquor: মদে বিষক্রিয়ায় একের পর এক মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ আবগারি দফতরের
বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়া
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 08, 2022 | 5:17 PM

কলকাতা ও বর্ধমান : বর্ধমানে মদে বিষক্রিয়ার জেরে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। দুইজন বৃহস্পতিবার রাতেই প্রাণ হারিয়েছেন। শুক্রবার আরও দুই জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মদে বিষক্রিয়ার ওই ঘটনায় এবার তদন্ত শুরু করল আবগারি দফতর। গোটা ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে জেলার আবগারি দফতরের আধিকারিকদের থেকে। ওই মদের নমুনা চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কী করে এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে আবগারি দফতর। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, যে সংস্থার ওই মদ, সেই সংস্থার সঙ্গেও কথা বলা শুরু করেছেন আবগারি দফতরের আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, ওই নির্দিষ্ট ব্যাচের মদগুলি বাজার থেকে আপাতত তুলে নেওয়া হলেও কোন কোন জায়গায় ওই ব্যাচের মদগুলি রয়েছে , তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আবগারি দফতর। জেলা আবগারি দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বর্ধমান শহরের সমস্ত মদের দোকান আপাতত বন্ধ রাখার জন্য। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর শহরে পুলিশ বেশ  সক্রিয় ছিল। শুক্রবার সকালে সেই সক্রিয়তা আরও বাড়ানো হয়েছে। আবগারি দফতরের থেকে ইতিমধ্যেই মদের নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। কতদিন এই মদের দোকানগুলি বন্ধ থাকবে সেই নিয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা এখনই নেই। আপাতত শুধু একদিনের জন্যই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশিকা পরে জানানো হবে।

জানা গিয়েছে, পুলিশের তরফে দুটি হোটেলও সিল করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকেই শহর জুড়ে এডিজি ওয়েস্টার্ন জোন সঞ্জয় সিং ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কামনাশিষ সেনের নেতৃত্বে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি অবৈধ মদ বিক্রেতাকে আটকও করা হয়েছে বলে খবর। এদিকে মদে বিষক্রিয়ার এই ঘটনায় পুলিশের নজরদারিতে গাফিলতিকেই দায়ী করছেন স্থানীয়দের একাংশ।