কলকাতা: এবার কলকাতায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় বিশেষ জোর। শহরের বিভিন্ন কর্মস্থলে ফায়ার অডিট বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে দাবি করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। একই সঙ্গে মেয়র জানান, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে দমকল, পুরসভা, পুলিশের বড়কর্তাদের নিয়ে হাইপাওয়ার কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটি নিয়মিত কাজ করছে। দিল্লির মুণ্ডকায় প্রাণঘাতী অগ্নিকাণ্ড বারবার তর্জনি তুলছে কলকাতার বিভিন্ন মার্কেট, পুরনো বাজার, অফিস, হাসপাতালগুলির দিকে। এরকম কোনও ঘটনা ঘটলে রাজ্য প্রশাসন, পুরনিগম কি মোকাবিলায় প্রস্তুত? কারণ এ শহরের বুকেই স্টিফেন কোর্ট, নন্দরাম মার্কেট, আমরির মতো অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে কলকাতায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ফায়ার অডিট বাধ্যতামূলক করতে বলেছি।” অন্যদিকে ট্যাংরাতে আগুনের ঘটনার পর মেয়রকে নিয়ে একটি হাই পাওয়ার কমিটি তৈরি করা হয়েছে। সেই কমিটি বিভিন্ন কাজ শুরু করেছে। সুপারিশ তৈরির কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকেই নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পায়নি। তারা যাতে এনওসি দ্রুত পেয়ে যায়, তার জন্য মেয়র দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে বলবেন বলে জানান।
একইসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, “ফায়ার লাইসেন্স শুধুমাত্র নথিপত্র যাচাই করে না দেওয়াই উচিত। দমকল মন্ত্রীকে বলব, ফায়ার লাইসেন্স দেওয়ার আগে বাণিজ্যিক ভবন বা সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি একবার ঘুরে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা তা যেন যাচাই করে দেখেন। তারপরই যেন ফায়ার লাইসেন্স দেওয়া হয়। এতে অগ্নিকাণ্ডের সংখ্যা কমবে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার সমস্ত দিক বিচার করে ফায়ার লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সুজিতকে বলব।”
অন্যদিকে এদিন সুজিত বসু বলেন, “দেখুন আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করি সর্বশক্তি দিয়ে আগুন নেভাতে। জীবন বিপন্ন করে আমাদের কর্মীরা কাজ করেন। অত্যাধুনিক সরঞ্জাম আছে আমাদের হাতে। ফায়ার বল, ভ্রাম্যমাণ মোটর সাইকেল, ফায়ার এক্সটিংগুইশার থেকে সমস্ত কিছু রয়েছে। এক জায়গায় যদি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে নিকটবর্তী ফায়ার স্টেশন থেকে গাড়ি যেতে একটু সময় লাগে। সেইটুকু সময় তো দিতেই হবে।”