কলকাতা: ধনখড় জমানার স্মৃতি এখনও অতীত হয়নি। সে সময় উপাচার্যদের (Vice Chancellor) সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত চরমে উঠেছিল। এমনকী বারবার বৈঠকে ডেকেও উপাচার্যদের পাননি রাজ্যপাল। ফাঁকা চেয়ারের ছবি পোস্ট করে সংঘাতের তীব্রতা বাড়িয়েছিলেন ধনখড়। নতুন রাজ্যপাল আসার পর সংঘাতে জল পড়েছিল। হাতে হাত দিয়ে বিকাশ ভবন থেকে ব্রাত্য বসু ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য-রাজভবন সংঘাত এবার থেকে অতীত। এবার অবশ্য একটু হলেও অন্য ইঙ্গিত। সরাসরি রাজভবনের হস্তক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। রাজভবন থেকে চিঠি এসেছে সব উপাচার্যের কাছে। সরাসরি চেয়ে পাঠানো হচ্ছে সাপ্তাহিক রিপোর্ট। প্রতি সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হয়েছে, তা জানাতে হবে খোদ ভিসিকেই।
কী বার্তা গিয়েছে রাজভবন থেকে? প্রত্যেক সপ্তাহের রিপোর্ট সপ্তাহান্তে পাঠাতে হবে রাজভবনে। কোনও বড় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আগাম অনুমোদন নিতে হবে রাজভবনের। উপাচার্যরা বিকাশ ভবনকে না জানিয়েও সরাসরি রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। কেন এই বার্তা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক? শিক্ষামহলের একাংশ প্রশ্ন তুলছে, এতে কি আবার রাজ্য রাজভবন সংঘাতের ইঙ্গিত? রাজ্যপাল বার্তা দিয়ে বোঝাতে চাইছেন, বিকাশ ভবনকে না জানিয়েও সরাসরি আচার্যের কাছে আসা যায়। অধ্যাপক সংগঠনের দাবি, এই চিঠির উত্তরেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের রাজ্য-রাজভবন সম্পর্কের ভবিষ্যৎ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল তথা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যও। তারপর উপাচার্যদের মেয়াদ তিন মাসের জন্য বাড়িয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি রাজ্যপালকে পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্য রাজভবন সংঘাতের বাতাবরণ এখন অতীত।
কিন্তু এবার নতুন করে রাজভবন থেকে এই বার্তা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। জুটার সাধারণ সম্পাদক পার্থ প্রতিম রায় অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন সাতদিনের রিপোর্ট নিয়ে। তাঁর বক্তব্য, রিসার্চের কাজ বা অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রামের কাজ একটি দীর্ঘমেয়াদি বিষয়।