কলকাতা : করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকলেও সংক্রমণ কমে আসায় আবারও নতুন করে খুলেছে স্কুল। আবারও নতুন করে অক্সিজেন পাচ্ছে শিশুরা। বন্ধুদের সঙ্গে জমে থাকা গল্প, টিফিন – এ সব নিয়ে ফের মেতে উঠেছে তারা। বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য যেখানে সন্তানদের পাঠাচ্ছে বাবা-মায়েরা, সেখানে কতটা নিরাপদ? তারা কতটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন অভিভাবকেরা? স্কুল সুরক্ষার আশ্বাস দিলেই কী নিশ্চিন্ত হওয়া যায়? তা নিশ্চিত করতেই সব স্কুল পরিদর্শন করার নির্দেশিকা দিয়েছে জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। কমিশনের গাইডলাইন মেনেই এবার রাজ্যের স্কুলগুলিতে শুরু হচ্ছে অডিট।
এই প্রথমবার সেই গাইডলাইন মেনে স্কুলে স্কুলে অডিটের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মূলত সেফটি অডিট বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিদর্শন করা হবে স্কুলগুলিতে। রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিনিধিরা স্কুলে গিয়ে সব বিষয় খতিয়ে দেখবেন। সমগ্র শিক্ষা মিশনের আওতায় থাকা রাজ্যের প্রত্যেক প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে হবে সেফটি অডিট। এনসিপিসিআর-এর ঠিক দেওয়া মোট ১৭৪টি প্রশ্ন রয়েছে তালিকায়। যার মাধ্যমে স্কুলের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হবে। গত ৫ মে এই অডিট সংক্রান্ত নির্দেশিকা দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
১. স্কুল বিল্ডিং ২০০৫ সালের বিল্ডিং কোড অনুযায়ী তৈরি কি না, তা দেখতে হবে।
২. স্কুলে রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট বা শিক্ষার অধিকার আইন মানা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করা হবে।
৩. অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে।
৪.ঘূর্নিঝড়ে স্কুলগুলিতে নিরাপদে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে কি না, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে।
৫. বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
৬. পানীয় ও অন্যান্য ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত জল আছে কি না, দেখা হবে।
৭. ল্যাবরেটরির নিরাপত্তা খতিয়ে দেখবেন প্রতিনিধিরা।
৮. প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে কি না, তা দেখা হবে।
৯. স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টিও রয়েছে তালিকায়।
১০. যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা জানাতে হবে স্কুলগুলিকে।
১১. সাইবার নিরাপত্তার বিষয়েও নজর দেওয়া হবে।